রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

কোটি হৃদয়ের ভালোবাসায় সিক্ত হানিফ সংকেত

শোবিজ প্রতিবেদক

কোটি হৃদয়ের ভালোবাসায় সিক্ত হানিফ সংকেত

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সেলিব্রেটির মানদন্ড হলো ভেরিফাইড পেজে ভক্তদের লাইক বা পছন্দ সংখ্যা। আর পছন্দ বা ভালোবাসার সংখ্যায় ১ কোটি ছাড়িয়ে গেছে বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেতের ফেসবুক ফ্যানপেজ। বাংলাদেশে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে প্রিয় এ মানুষটি দেশের দীর্ঘস্থায়ী ও সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির প্রাণপুরুষ। বর্তমানে তাঁর ফ্যানপেজে ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ২৫ হাজারেরও বেশি।

ফেসবুকে ১ কোটি অনুসারীর মাইলফলক অর্জনের পর হানিফ সংকেত ইত্যাদির মতো করেই ভক্তদের উদ্দেশে ফেসবুক বার্তায় বলেন, ‘আমাদের এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় কোটি হৃদয়েরও বেশি মানুষ দেশ বা বিদেশ, যে যেখান থেকে প্রাণ স্পর্শে-আনন্দ হর্ষে-সৎ আদর্শে-চিন্তার উৎকর্ষে-ভালোবেসে আমাদের এই ফেসবুক পেজে সহযাত্রী হয়েছেন সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা ধন্য। শুভ কামনা সবার জন্য।’ বলাবাহুল্য, আজকাল অনেকে অশোভন-অশালীন-উদ্ভট-ব্যক্তিগত ছবি, বিষয়বস্তু ও নিজেকে জাহির করে পোস্ট দিয়েও ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করেন। কিন্তু বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেতের এই অনুসারীর সংখ্যা নিতান্তই ভালোবাসা থেকে। কারণ তাঁর এই পেজ ফলো করলে দেখা যাবে এখানে ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা হানিফ সংকেতের দৈনন্দিন কর্মকান্ড এসব নিয়ে কোনো ছবি বা পোস্ট নেই। নেই কোনো ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস কিংবা আত্মপ্রচারমূলক পোস্ট। তাঁর এই ফ্যান পাতায় রয়েছে শুধু ইত্যাদি এবং তাঁর নাটক সম্পর্কিত সংবাদ। যে অনুষ্ঠান বছরে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি পর্ব হয়। আর নাটক বছরে দুটি। এই পেজে হানিফ সংকেতের নিজস্ব কোনো মন্তব্যও থাকে না। শুধু বিশেষ দিন উপলক্ষে বছরে ৪-৫টি শুভেচ্ছা বাণী ও তাঁর কিছু উক্তি থাকে। সাম্প্রতিককালে করোনা দুর্যোগের সময় তিনি নিজের দায়বোধ থেকে দুটি সচেতনতামূলক ভিডিও আপলোড করেছিলেন এই পেজে। বছরখানেক ধরে দর্শকদের অনুরোধে এই পাতায় শুধু ইত্যাদির কিছু কনটেন্ট দেখা যায়। সুতরাং বলা যায়, হানিফ সংকেতের এই পেজটি অত্যন্ত রুচিশীল একটি পেজ। যেখানে প্রতিটি পোস্টের রিলেটেড কমেন্ট দেখলেই বোঝা যাবে এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কত গভীর। হানিফ সংকেত বলেন, ‘ইত্যাদির কোটি কোটি দর্শক ভক্তের প্রতিনিধি হচ্ছেন ফেসবুক পেজের এ বন্ধুরা। আমি এবং আমাদের অ্যাডমিন প্যানেল নিয়মিত সবার সব মন্তব্য এবং মতামত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি এবং গঠনমূলক সমালোচনাগুলো গ্রহণ করি।’ উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে পাক্ষিক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এ অনুষ্ঠানটির। ১৯৯৪ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে প্যাকেজ অনুষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘ইত্যাদি’। এটাই ছিল বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম প্যাকেজ অনুষ্ঠান। তখন একমাত্র বিটিভি ছাড়া কোনো টিভি চ্যানেল ছিল না।  তাই বেসরকারিভাবে অনুষ্ঠান নির্মাণের পথপ্রদর্শকও বলা যায় ‘ইত্যাদি’কে।

সর্বশেষ খবর