সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

দুই বাংলার তারকাদের পূজা

আজ থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসব ঘিরে বিনোদন তারকাদের রয়েছে নানা ভাবনা।

শোবিজ প্রতিবেদক

দুই বাংলার তারকাদের পূজা

কৌশানী মুখোপাধ্যায়

কৌশানী মুখোপাধ্যায় : পূজায় ইন্ডিয়ান পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি

ঢাকার চাঁদপুরে শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় পূজন মজুমদারের ‘প্রিয়া রে’ ছবির শুটিং করে ৫ তারিখে উড়াল দিয়ে এখন কলকাতায় আমি। এখানে ধুমধাম করে পূজা উদযাপনের জন্য সব শুটিং শেষ করে আসা বলা যায়। আমি একটু বেশিই দেশি। তাই পূজার ইন্ডিয়ান পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এমনিতেই ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতে সমস্যা নেই। শাড়ি, সালোয়ার, লেহেঙ্গা পরি পূজার সময়। পূজার সময় সারা দিন তো বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আনন্দেই কাটে।

 

ঋতুপর্ণা

ঋতুপর্ণা : নিভৃতবাসে কাটাতে চাই না

সিঙ্গাপুরে গেলেই ১৫ দিনের নিভৃতবাস, কিন্তু পূজাটা নিভৃতবাসে কাটাতে চাই না। তা ছাড়া মুম্বাইয়ে আমার একটা শুটিং ঠিক হয়ে আছে। তাও একটু বদলানোর চেষ্টা করছি, যাতে পূজার কটা দিন একটু আমার মতো করে, নিজের মতো করে, আমাদের বাঙালিয়ানার বিশেষ ঢঙে কাটাতে পারি। চেষ্টা করব পূজার সময়টায় কলকাতায় থাকতে।

 

ব্রাত্য বসু : কলকাতায় থাকি পূজার সময়

এখন কলকাতায় থাকি পূজার সময়। নিজের বিধানসভা এলাকায় কয়েকটি পূজায় যাই। আর অপেক্ষা করি, পূজা মিটলে তবে শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যাব। করোনার এই সময় অবশ্য বেড়ানো মানেও সেই শান্তিনিকেতন। তার বেশি দূরে যাচ্ছি না।

 

অঙ্কুশ : পূজার সময় এবারএফআইআর মুক্তি পাবে

বর্ধমানের ছেলে আমি। কিন্তু বেশ কয়েক বছর হলো কলকাতায় পূজা কাটাচ্ছি। বিগত কয়েক বছর আরও একটা নিয়ম জুড়ে গেছে পূজার সঙ্গে। ২০১৬ থেকে পরপর দুর্গাপূজায় আমার ছবি মুক্তি পেয়েছে। এবার ‘এফআইআর’ মুক্তি পাবে।  পূজায় ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে ছবি দেখাও অপরিহার্য। এবার পূজার চার দিন কোনো কাজ রাখিনি। ওই দিনগুলো পুরোপুরি নিজের জন্য। পরিবারকে সময় দেব।

 

প্রাণ রায় : শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকব

পূজার দিনগুলোতে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবেন অভিনেতা প্রাণ রায়। তবে পূজার দিনগুলোয় নতুন নতুন পোশাক পরবেন। বাসায় লুচি, সবজি ইত্যাদি খাবার রান্না করবেন। প্রাণ রায় বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি আঁকাআঁকি করতাম। একবার পূজায় আমি দেবীর চক্ষু আঁকার সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা একটা স্মরণীয় ঘটনা। এবার পূজায় দেবীর কাছে করোনামুক্ত পৃথিবী চাইছি।

 

বিদ্যা সিনহা মীম

বিদ্যা মীম : মামাবাড়িতে পূজা করব

মীম অন্যান্য বার ঢাকায় পূজা উদযাপন করলেও এবারের পূজা করবেন রাজশাহী মামাবাড়িতে। পরিবারের সঙ্গেই পূজার সময়টা কাটাতে চান তিনি। দেবীর কাছে এবার তাঁর চাওয়া থাকবে, পৃথিবী যেন আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়।

 

পূজা চেরী

পূজা চেরী : পূজার সময় ঢাকায় থাকব

একসময় খুলনার গাজীরহাটে নিজেদের বাড়িতে পূজা উদযাপন করতেন অভিনেত্রী পূজা চেরী।  সেখানে বড় পরিসরে পূজার আয়োজন করা হতো। গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায়ই পূজা করা হয় তাঁর। শুটিংয়ের ব্যস্ততা কাটিয়ে পূজার সময়টায় ঢাকায় থাকবেন। দুদিন থেকে ফের শুটিংয়ে ফিরবেন। পূজা বলেন, ছোটবেলার পূজার আনন্দটা এখন আর নেই। সেই দিনগুলো খুব মিস করি। আমাদের বাড়ির উঠানে সবচেয়ে বড় মন্ডপ হতো। মিডিয়ায় কাজ শুরু করার পর থেকে মন্ডপে গেলে অনেকেই আমাকে চিনে ফেলেন। ছবি তুলতে চান। ব্যাপারটা উপভোগ করি।

 

মনোজ প্রামাণিক : ছোটবেলায় ঠাকুমা দুই টাকা করে দিতেন

মনোজ পূজা করবেন বাবা-মার সঙ্গে গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়। মনোজের মা পূজার দিন সবজি, লুচি, মাছ ইত্যাদি রান্না করেন। এগুলো তাঁর প্রিয় খাবার। মায়ের হাতের রান্না ছাড়া পূজার আনন্দটা ঠিক  যেন জমেই না তাঁর। এই দিনগুলো ডায়েট-টায়েট একদম ভুলে যান। পূজার সময় পাঞ্জাবি, শার্ট পরতে পছন্দ করেন। মনোজ প্রামাণিক বলেন, খুব ছোটবেলায় ঠাকুমা দুই টাকা করে দিতেন আমাদের। সেই টাকা দিয়ে বাজারে গিয়ে এটা সেটা কিনে খেতাম। ঠাকুমা নেই। তাঁর দুই টাকা করে দেওয়াটাকে খুব মিস করি।

 

ঊর্মিলা কর : সর্বদা বাবাকে খুঁজে ফিরি

পূজার সপ্তমীতে কক্সবাজার থাকবেন ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। অষ্টমী, নবমী, দশমীতে থাকা হবে ঢাকায়। পূজার দিনে শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। খেতে ভালোবাসেন মায়ের হাতের রান্না।

তবে পূজার আনন্দের মধ্যে শূন্যতা অনুভব করেন এখন। বাবাকে হারানোর পর থেকে পূজায় আর আগের মতো মজা করতে ইচ্ছা করে না তাঁর। সব ভিড় ছাপিয়ে বাবাকে খুঁজে ফেরেন তিনি।

সর্বশেষ খবর