দ্বিতীয়বারের মতো সিনেমার জন্য বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে?
ফারুকীর ‘ডুব’-এ শহুরে গল্পে কাজ করেছিলাম। তখন একরকম বাংলাদেশ দেখেছিলাম। এবার সুন্দর একটি গ্রামে শুটিং করছি। এখানকার মানুষগুলো খুব ভালো, আতিথেয়তাপরায়ণ। শুটিং স্পটের আশপাশের বাড়ির মানুষগুলোই আমাদের যত্ন করছেন, খেয়াল রাখছেন। তবে শুটিংয়ের তাড়াহুড়ায় এখনো গ্রাম ঘুরে দেখার সময়ই পাইনি। ২৮-২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শুটিং হবে। সময় পেলে এখানকার কিছু চমৎকার স্থান ঘুরে দেখার ইচ্ছা রয়েছে। এরপর ঢাকায় ফিরব।
শুনেছি বাঙালি খাবার খুবই পছন্দ আপনার?
খুব! আসার পর থেকেই সুস্বাদু অনেক কিছুই খাচ্ছি। ইলিশ, পাঙ্গাশ, আইড় ও ছোট মাছ থেকে শুরু করে হাঁসের মাংস পর্যন্ত খেয়েছি। রান্না খুবই মজাদার ছিল। খুব ভোরে খেজুর গাছে ওঠে সরেস রস এনে খাইয়েছে আমাকে।
শুটিং করতে কষ্ট হচ্ছে কি?
এই এলাকাটা প্রচ- ঠান্ডা! যেহেতু আত্রাই নদীতে নৌকায় অনেকক্ষণ ধরে শট দিতে হচ্ছে, তাই একটু কষ্ট তো হচ্ছেই! তারপরও গল্প ও সংলাপ বুঝে নিজের মতো করে অভিনয় করছি। তুহিন ভাই, মোমিন ভাই, সাহিল রনি, মোশাররফ ভাই, জর্জ ভাই, তিথি, জুঁই ভাবিসহ টিমের সবার কাছ থেকে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছি। আর সাহিল রনির সঙ্গে এবারই প্রথম কাজ। কলকাতার বন্ধু অনিন্দ্য চ্যাটার্জির মুখে তাঁর নাম শুনেছি। রনি ভীষণ ভালো।
মোশাররফ করিমের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করছেন...
হুমম... তবে তাঁর সঙ্গে আগে কাজ না করলেও কিছু কাজ দেখেছি। ওপারে তো মোশাররফ, চঞ্চল, খুশি, জয়া, বাঁধন, মিথিলারাও অনেক কাজ করছেন। ইউটিউব ও ওটিটির কল্যাণে তাঁদের কাজ সবাই দেখেন। আমি মোশাররফ ভাইয়ের নাটক দেখেছি; ‘টেলিভিশন’ও দেখা। অসাধারণ! তিনি খুবই ব্রিলিয়ান্ট অ্যাক্টর! দারুণ মানুষও। এপার বাংলায় তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছে। আমিও তাঁর অভিনয়ের ভীষণ ভক্ত। এই সিনেমায় তাঁর আর আমার বোঝাপড়া খারাপ হচ্ছে না কিন্তু... হা হা। আর একজনের কথা বলতেই হবে। তিনি জর্জ ভাই। তাঁর সঙ্গে অনেক দৃশ্য করেছি। তিনি সত্যিই দারুণ অভিনয় করেন!
এটিতে অনাকাক্সিক্ষত অন্তঃসত্ত্বা হনুফার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। হনুফার জীবন-সংগ্রাম নিয়ে বলুন...
সব কিছু বলে দিলে তো দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে! থাক না কিছু চমক। দর্শক দেখুক।
এ দেশের চ্যানেলগুলো ওপারের মানুষ দেখতে পায় না। কিন্তু এ দেশে ভারতীয় চ্যানেলের অবাধ বিচরণ...
দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময় সমানে সমান হওয়া উচিত। কিন্তু ওপারে এখনো জটিলতা থাকছেই। তবে ওটিটির কারণে এখন বিশ্বের বিনোদন দুনিয়া এক কাতারে। তাই যে দেশ যাই করুক না কেন, যে নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ বানাক- তা কিন্তু একসময় মানুষ দেখবেই। আটকে রাখার কোনো সুযোগ নাই।
ইলিশ, ঢাকাই জামদানি, টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে যাবেন না এবার?
হা হা হা... এ সময় খেজুর রস থেকে এখানকার লোক পাটালি, ঝোলাগুড় বানায়। এখানকার মধুও ভালো। যদি সুযোগ হয় এসব নিয়ে যেতে চাই।
বিশ্বকবির কাছারিবাড়ি যাওয়া হয়নি?
শুনেছি, নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসরে তাঁর কাছারিবাড়ি আছে। এখনো সেখানে যাওয়া হয়নি।