বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

এফডিসিতে কী হচ্ছে ॥ পাঁচ নায়িকার উদ্বেগ

শোবিজ প্রতিবেদক

এফডিসিতে কী হচ্ছে ॥ পাঁচ নায়িকার উদ্বেগ

সুচন্দা

চলচ্চিত্র নির্মাণের সূতিকাগার খ্যাত এফডিসিতে নানা প্রতিকূলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবর্তে এখানে চলছে নেতৃত্বের লড়াই। এমন পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় পাঁচ নায়িকা খুবই উদ্বিগ্ন।  এ নিয়ে কী বলছেন তাঁরা তা তুলে ধরেছেন-

 

সুচন্দা

এফডিসি হলো চলচ্চিত্র নির্মাণের স্থান। চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সেবা পাওয়ার জায়গা। তাছাড়া সৃষ্টিশীল মানুষের বিচরণ ভূমি হচ্ছে চলচ্চিত্র জগৎ। চলচ্চিত্রকার ও তাঁদের সৃষ্টি দেখে দেশ-বিদেশের মানুষ দেশীয় কৃষ্টি-কালচার, সমাজ, পরিবার সম্পর্কে জানবে, জ্ঞান আহরণ করবে আর দেশের প্রধান গণমাধ্যম চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা প্রদর্শন করবে। কিন্তু এখন হচ্ছে এর বিপরীত। এ জগৎ হচ্ছে শিক্ষিত মানুষের লীলাভূমি। এখানে কেন দলাদলি, দ্বন্দ্ব, সংঘাত, কাদা ছোড়াছুড়ির মতো ঘটনা ঘটবে। আমি বলব এখনো সময় আছে দেশের এই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটিকে পুনরায় শ্রদ্ধা ও সৃষ্টির আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে সবাই দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে আসুন।

 

শাবানা

শাবানা

ভাবতেই কষ্ট হয় আমার প্রাণের চলচ্চিত্র জগৎ এখন প্রতিকূল অবস্থা পার করছে। যাঁরা এখন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁদের উচিত শিল্পটির মান-মর্যাদা সমুন্নত থাকে সেভাবেই কাজ করা। একসঙ্গে কাজ করা মানে একটি পরিবার। আর পরিবারের মধ্যে খুনসুটি থাকতেই পারে। তাই বলে এভাবে দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত হতে হবে এটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। এতে আমাদের গর্বের চলচ্চিত্র আর এফডিসি এখন ধ্বংসের পথে। আমি চাই সবার বোধোদয় হোক এবং দ্বন্দ্বের পথ পরিহার করে মিলেমিশে এই জগৎকে আবার সোনালি দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাক।

 

ববিতা

ববিতা

একটি দেশের প্রধান গণমাধ্যম হলো চলচ্চিত্র। আমাদের চলচ্চিত্র জগৎ একসময় ছিল গর্বের জায়গা। আমরা আমাদের সুনির্মাণ একসময় শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসা কুড়িয়েছি ও প্রতিনিধিত্ব করেছি। এফডিসি ছিল চলচ্চিত্র নির্মাণে মুখর। এখানে অন্য কোনো কাজের প্রশ্নই উঠত না। কারণ এত বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ হতো যে, সবাই কাজে ব্যস্ত থাকতেন। আর এখন এফডিসি ও চলচ্চিত্র জগতে এসব কী হচ্ছে। কেন হচ্ছে। ভাবতেই কষ্টে মনটা ভারী হয়ে যায়। এতে বিশ্বের কাছে আমাদের চলচ্চিত্রের ও এ জগতের মানুষের মান-মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।

 

চম্পা

চম্পা

এমন অবস্থা তো কখনো প্রত্যাশা করিনি। এফডিসি হচ্ছে চলচ্চিত্রকারদের সেকেন্ড হোম। সেখানে কেন স্বার্থ উদ্ধারে সংঘাত হবে। এতে কী দীর্ঘদিন ধরে প্রতিকূল অবস্থায় পড়ে থাকা শিল্পটির উন্নতি হবে নাকি আরও অবনতির দিকে ধাবিত হবে। আমি চলচ্চিত্রের সবার কাছে অনুরোধ জানাব আসুন ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করি।

 

শাবনূর

শাবনূর

চলচ্চিত্রের কাজই যদি না থাকে তাহলে সংগঠন দিয়ে কী হবে? আগে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে তারপর অন্যকিছু। এফডিসি মানেই দেশের মানুষের কাছে চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রের মানুষের একটি মিলন মেলার স্থান। মানুষ এখন দেখছে মিলন মেলা নয়, এখানে হয় রুপালি জগতের মানুষের স্বার্থ উদ্ধারে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জায়গা। এ অবস্থা লজ্জার। এতে আমাদের চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রের মানুষের প্রতি সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কমছে। যা সত্যিই দুঃখজনক।  এ অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।

সর্বশেষ খবর