বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

সুরের মূর্ছনায় বুঁদ করে গেলেন এ আর রহমান

আলী আফতাব

সুরের মূর্ছনায় বুঁদ করে গেলেন এ আর রহমান

যাঁর দর্শনের অপেক্ষায় বৃষ্টিতে ভেজা, যাঁর সুরের মূর্ছনায় বুঁদ হওয়ার অপেক্ষা, তিনি অবশেষে মঞ্চে এলেন আর ‘জয় হো’ গানটির মধ্য দিয়ে স্টেডিয়ামে থাকা হাজারো দর্শকের মন জয় করে নিলেন সুরের জাদুকর এ আর রহমান। মঙ্গলবার  ঢাকার সংগীতপ্রেমীদের সুর আর কণ্ঠের মাধুর্যে মুগ্ধ করলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব ১০০’ অনুষ্ঠানে গেয়ে মন মাতালেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় এ সুরকার, সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজিত ও দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার পৃষ্ঠপোষকতায় এই মেগা কনসার্টের দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগীত উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান আরও উপভোগ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা বেগম এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ও তাঁর স্ত্রী সাবরিনা সোবহান। রাত সাড়ে ৯টায় কনসার্টে পারফরম করতে মঞ্চে ওঠেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার ও অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান। বিকালে কনসার্ট শুরুর পর প্রথম পারফরম করে ব্যান্ড দল মাইলস। এরপর আসেন মমতাজ বেগম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বৃষ্টি বাধায় থেমে যায় কনসার্ট। বৃষ্টির পর আবার কনসার্টের মঞ্চে ওঠেন মমতাজ। উপস্থাপক রুমানা মালিক মুনমুন মাইলসের পরিবেশনার পরই সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে মঞ্চে আমন্ত্রণ করেন। মমতাজ শুরু করেন তাঁর নতুন গান ‘জয় মুজিবুর, জয় স্বাধীনতা, বাংলাদেশের জয়’ গানটি দিয়ে। এরপর একে একে গেয়ে শোনান ‘না জানি কোন অপরাধে দিলা এমন জীবন’, ‘আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেল গো মরার কোকিলে’, ‘নান্টু ঘটকের কথা শুইনা’ ও ‘বন্ধু তুই লোকাল বাস’-এর মতো মঞ্চ মাতানো গানগুলো। বহু দর্শক বিপুল উৎসাহে গলা মেলাচ্ছিল তাঁর সঙ্গে।  গভীর রাত পর্যন্ত এ আর রহমান ও তাঁর সহশিল্পীরা গান গেয়ে শোনান। দর্শকদের মাতিয়ে রাখতে তিনি একের পর এক ‘মোকাবেলা

সুবহানাল্লাহ...’, ‘ও ও ও লায়লা’, ‘রং দে বাসন্তী...’, ‘পিয়া পিয়া... জিয় জিয়...’, ‘দম মাস্ত কালান্দার...’, ‘কুন ফায়াকুন...’, ‘খাজা মেরে খাজা...’, ‘তেরে বিনা বেসোয়াদি...’ বিখ্যাত সব গান গেয়ে মাত করেন ভারতীয় সংগীত জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি। প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট অতিথি ও দর্শক-শ্রোতাদের চমৎকৃত করে গেয়ে ওঠেন ‘জয় জয় জয় বাংলাদেশ’। তাঁর আরেকটি গানে ছিল ‘সোনার বাংলা’ কথাটিও। একসময় মঞ্চে আসেন আরেক বিশিষ্ট নাম হরিহরণ। প্রায় মধ্যরাতে আরেক চমক। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে মঞ্চের পর্দায় ‘আবির্ভূত হন’ সম্প্রতি প্রয়াত সংগীত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর। তাঁর রেকর্ড করা কণ্ঠের সঙ্গে গলা মেলান এ আর রহমান। সৃষ্টি হয় সুরের ঐন্দ্রজালিক আবহ। গিটার বাজিয়ে গান করেন শিল্পী রশিদ আলী। ছিল যন্ত্রসংগীতের পরিবেশনাও। দুই শর বেশি এই বহরে দর্শকদের নাচে-গানে মুগ্ধ করে রাখেন ভারতের আরেক কণ্ঠশিল্পী জোনিতা গান্ধী। গানের পাশাপাশি তিনি যে ভালো নাচতে পারেন তা আবারও বাংলাদেশি দর্শকদের জানান দিলেন এই শিল্পী।

সর্বশেষ খবর