বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ । মীর আফসার

বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ

বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ

বাংলাদেশে এসেছেন কলকাতার জনপ্রিয় উপস্থাপক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী মীরাক্কেলখ্যাত মীর আফসার আলী। কয়েক দিন ধরে ফুডকা টিম নিয়ে তিনি ঢাকা চষে বেড়াচ্ছেন। অবশেষে তাঁর দেখা পাওয়া গেল গুলশানের নাভিদ মাহবুবের কমেডি ক্লাবে। এ দেশে আসার কারণ ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

এবার ঢাকায় আসার কারণটা কী?

এটা আমার নিজস্ব প্রজেক্ট। আবার ভাববেন না, জি-বাংলার স্পন্সর নিয়ে এখানে এসেছি... হা হা হা। মীরাক্কেল প্রজেক্টের সঙ্গে এটাকে কিন্তু মেলানো যাবে না। মূলত ‘ফুডকা’ নামে ফুড ব্লগিং সাইটের জন্য ভিডিও তৈরি করতে এ দেশে এসেছি আপনাদের দেশের অভিনেতা ও জনপ্রিয় ফুড ব্লগার আদনান ফারুক হিল্লোলের আমন্ত্রণে। আমাদের সহযোগিতা করছেন ইনফ্লুয়েন্সার হাব।

 

হিল্লোলের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে?

তাঁর তো আমি বিশাল বড় ফ্যান। তাঁর ব্লগ ‘ডাইন আউট উইথ আদনান’ নিয়মিত দেখি। যদিও হিল্লোল এবং আমরা একই সময় কাজ শুরু করি। আমরা কলকাতায় আর সে বাংলাদেশে। করোনার সময় আমরা একটা লাইভে বসেছিলাম। সেখান থেকে পরিচয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আমি বাংলাদেশে।

 

শহর চষে বেড়াচ্ছেন, অভিজ্ঞতা কেমন হচ্ছে?

খুবই ভালো লাগছে। অভিজ্ঞতা চমৎকার। একটা প্রজেক্ট নিয়ে এসেছি। প্রজেক্ট ফুডকা। সঙ্গে রয়েছে ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি ও ফুডকা টিম। এ দেশে মজার মজার সব খাবার নিয়ে শুট করতে অনেক আনন্দ পাচ্ছি। এত খাবার, তাও একসঙ্গে; প্রায় তিন বেলা-চার বেলা খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে-এটা অদ্ভুত একটা এক্সিপেরিয়েন্স! তবে আমি তো বলব, এটা ফুড ব্লগিং নয়; ফুড ডকু... হা হা হা।

 

এই কয়েক দিনে কোথায় কোথায় ঘুরেছেন?

পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়েছি। বিউটি বোর্ডিংয়ে, বিহারি ক্যাম্প ঘুরেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চষে বেড়িয়েছি। এ ছাড়া বিয়েবাড়ির কাচ্চি খাওয়ার জন্য একটি বিয়ের অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলাম। ঢাকার মাওয়া ঘাটে গিয়ে তাজা ইলিশ খেয়েছি। এরপর নাভিদ মাহবুবের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার আমরা গিয়েছিলাম গুলশানের নাভিদ কমেডি ক্লাবে। সবার সঙ্গে দেখা হলো, চমৎকার আড্ডাও হলো একটুখানি। একটা কথা বলতেই হবে, পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে ঘুরেছি। কিন্তু বাংলাদেশের মতো এত আতিথেয়তা অন্য কোথাও পাইনি। শুনলে আশ্চর্য হবেন, প্রত্যেক দিন ওজন মাপছি, ২০০ গ্রাম করে বাড়ছে... হা হা হা। খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে যদি কোনো স্বর্গ থেকে থাকে, তাহলে তা বাংলাদেশ।

 

কোন খাবারটি বেশি ভালো লেগেছে?

সব সময়ের প্রিয় খাবার কাচ্চি বিরিয়ানি। তা এখানে পরখ করেছি। বিউটির লাচ্চি, ফালুদা খেয়েছি। মোট কথা, ঢাকার সব খাবারই ভালো লেগেছে। তবে যা ভুলতে পারব না, তা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মরিচ-তেঁতুল চা। আর সেখানকার ভেলপুরি, কাঁচকলা ভর্তা ও জোস ছিল!

 

নিজে রান্না করতে পারেন?

ডিম সিদ্ধ ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না।

 

আবার আসবেন কবে?

আপনারা ডাকলেই আসব। এই মুহূর্তে আমরা ঢাকায় রয়েছি, আরও তো অনেক জায়গায় যাওয়ার বাকি রয়েছে। তা কিন্তু একযাত্রায় হবে না। আবারও আসতে হবে।

 

ঢাকা থেকে বিদায় নিচ্ছেন কবে, দাদা?

হা হা হা... ভালোই বলেছেন। কেবলই আসলাম, আর এখনই তাড়িয়ে দিচ্ছেন! মজাটা ভালো ছিল মাইরি। বিদায় নেব ১ এপ্রিল। মনে পড়ে, ২০১২-তে প্রথম ঢাকায় আসি।

 

মীরাক্কেলের নতুন সিজন নিয়ে কবে হাসাতে আসবেন পর্দায়?

অচিরেই। আসতেই তো হবে। নতুন সিজন ধামাকাদার হবে।

সর্বশেষ খবর