সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

গায়িকা থেকে নায়িকা

গায়িকা থেকে নায়িকা

হলিউডে এমন অনেক প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী রয়েছেন যারা একই সঙ্গে দর্শক মাতানো গায়িকা। যদিও হলিউডে অভিনেত্রী বনে যাওয়া অবশ্য নতুন কিছু নয়। তারপরও সফল গায়িকা-নায়িকা হয়ে এখনো দর্শক হৃদয়ে কাঁপন তুলে চলেছেন তারা। এমন কিছু প্রতিভাময়ীকে নিয়ে লিখেছেন - পান্থ আফজাল

 

স্কারলেট জোহানসন

স্কারলেট ইনগ্রিড জোহানসন মার্কিন চলচ্চিত্র গায়িকা। তবে তিনি একজন সফল অভিনেত্রীও। মার্ভেল কমিক্স চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘ব্ল্যাক উইডো’ দিয়ে বহুল আলোচিত ছিলেন তিনি। এটি সুপারহিরোভিত্তিক সিনেমা। বক্স অফিস থেকে সংগ্রহ ৩৭৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

কাইলি মিনোগ

হলিউডের চিরচেনা গায়িকা-অভিনেত্রী কাইলি মিনোগ। ‘হলি মোটরস’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন কাইলি। তার আরেকটি বিখ্যাত ছবি ‘মুলা রুজ’। তাকে ‘স্যান আন্ড্রিয়াস’ ছবিতে রেসলিং তারকা ডোয়ায়েন জনসনের সঙ্গে দেখা গেছে। তার দ্বাদশ স্টুডিও অ্যালবাম ‘কিস মি ওয়ান্স’। অ্যালবামের ‘কান্ট গেট ইউ আউট অব মাই হেড’ গানটি সাড়া জাগিয়েছে।

 

লিন্ডসে লোহান

মিন গার্লসখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী-গায়িকা লিন্ডসে লোহান। ২০১৯ সালে লিন্ডসে লোহানের ছবি বেলজিয়ান-আমেরিকান থ্রিলার অ্যামং দ্য শ্যাডোজ মুক্তি পায়। গত কয়েক বছরে লিন্ডসে সক্রিয় ছিলেন ছোট পর্দায়। লোহানস বিচ ক্লাব নামের একটি রিয়্যালিটি শোর উপস্থাপনাও করেছেন। তিনি দ্য মাস্কড সিঙ্গারের জুরি হিসেবেও কাজ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও পরিচিত তিনি। ২০০৬ সালে অ্যা প্রেইরি হোম কোম্পানিয়ন ছবিতে মেরিল স্ট্রিপের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন।

 

জেনিফার লোপেজ

সত্যিকারের ‘অলরাউন্ডার’ লোপেজ। গানের মতো অভিনয়েও। অনেক ছবি ও টিভি সিরিজে দেখা গেছে। তার নিজের কাছে অবশ্য গান, নাচ ও অভিনয় আলাদা কিছু নয়। ১৯৯৭ সালে ‘অ্যানাকোন্ডা’ জনপ্রিয় হওয়ার পর ‘ইউ টার্ন’, ‘দ্য সেল’, ‘ঈগল আইজ’, ‘শ্যাল ইউ ডান্স’, ‘পার্কার’সহ ৩০টির মতো ছবি করেছেন লোপেজ। দেখা গেছে, ডজনখানেক টিভি সিরিজেও।

 

ম্যাডোনা

গানের সঙ্গে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারটাও বেশ সমৃদ্ধ। এ পর্যন্ত ২৬টি ছবিতে দেখা গেছে তাকে। সঙ্গে সাতটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তিনটি মঞ্চনাটক ও ১০টি টিভি অনুষ্ঠান। এ ছাড়া ১৬টি বিজ্ঞাপনের মডেলও ছিলেন ‘পপসম্রাজ্ঞী’। ১৯৭৯ সালে অল্প বাজেটের ‘অ্যা সারটেইন স্যাকরিফাইজ’-এ প্রথম দেখা যায়। ১৯৮৫ সালে তার অভিনীত ‘ডেসপারেটলি সিকিং সুসান’ ব্যবসায়িক সাফল্যের সঙ্গে সমালোচক প্রশংসাও পায়। ১৯৮৬ সালে স্বামী শন পেনের সঙ্গে ‘সাংহাই সারপ্রাইজ’-এ জুটি হন গায়িকা। এ ছাড়া ‘বডি অব অ্যাভিডেন্স’সহ অনেক ছবি করলেও অভিনয়ের জন্য বরাবরই সমালোচিত হয়েছেন। বেশ কয়েকবার সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছেন।

 

ব্রিটনি স্পিয়ার্স

‘রোলিং স্টোন’ ম্যাগাজিন তাকে সর্বকালের সেরা টিন আইকনদের একজন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যেখানে বিবেচনা করা হয়েছে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের অভিনয় প্রতিভাও। ‘লং শট’, ‘ক্রসওয়ার্ডস’সহ কয়েকটি ছবি করেছেন গায়িকা। যেগুলোর বেশির ভাগই টিনএজ-কমেডি।

 

সেলিনা গোমেজ

২০০৩ সালে ‘স্পাই কিডস’-এ অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে শুরু। এরপর এ পর্যন্ত সেলিনা গোমেজকে দেখা গেছে ডজনখানেকেরও বেশি ছবিতে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘স্প্রিং ব্রেকারস’, ‘ইউনিটি’, ‘নেইবারস ২’ ইত্যাদি। সেলিনার নতুন ছবি ‘ইন ডুবিয়াস ব্যাটল’ আগামীকাল মুক্তির অপেক্ষায়। জেমস ফ্রাংকো পরিচালিত ছবিটির গুরুত্বপূর্ণ লিসা চরিত্র করেছেন সেলিনা।

 

লেডি গাগা

মিউজিক ভিডিওগুলো জনপ্রিয় হওয়ার পরই মূলত অভিনয়ে আগ্রহী হন লেডি গাগা। সেখানেও নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। মূলত টিভিতেই দেখা গেছে গাগাকে। ‘দ্য সিম্পসনস’, ‘গসিপ গার্ল’সহ অনেক সিরিজে দেখা গেছে গায়িকাকে। তবে গাগা বাজিমাত করেন ২০১৫ সালে। ‘আমেরিকান হরর স্টোরি : হোটেল’-এ অভিনয় করে গোল্ডেন গ্লোব জেতেন!

 

বিয়ন্সে

২০০১ সালে এমটিভির মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘কারম্যান : অ্যা হিপ হোপেরা’য় প্রথম দেখা যায় বিয়ন্সেকে। এর পরেও ‘অস্টিন পাওয়ারস ইন গোল্ডমেম্বার’, ‘দ্য পিংক’, ‘ড্রিমগার্লস’,  ‘অবসেসড’সহ ১০টি ছবি করেন গায়িকা। কোনোটিই সাড়া জাগাতে পারেনি।

 

রিহানা

রিহানাকেও কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে। যার কোনোটিতেই সাড়া জাগাতে পারেননি। বরং বাজে অভিনেত্রী হিসেবে ‘রেজি অ্যাওয়ার্ডস’-ও জেতা হয়েছে। তবে ২০১৮ সালের ‘ওশানস এইট’  নিয়ে আশাবাদী তিনি। মজা করে বলেছেন, এ ছবিতে নতুন রিহানাকে খুঁজে পাওয়া যাবে!

 

মাইলি সাইরাস

২০০৮ সালে এনিমেশন ছবি ‘বোল্ট’-এ কণ্ঠ দিয়ে চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক। এরপর ‘হানা মন্টানা : দ্য মুভি’, ‘দ্য লাস্ট সং’, ‘দ্য নাইট বিফোর’-এও দেখা যায়। তবে গায়িকার সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য উডি অ্যালেনের সঙ্গে কাজ করা। মিনি টিভি সিরিজ ‘ক্রাইসিস ইন সিক্স সিনস’-এ উডির সঙ্গে কাজ করেন।

 

ডেমি লোভাটো

ডিজনি চ্যানেলের সিরিজ ‘দ্য বল রিংস’ দিয়ে ডেমি লোভাটোর অভিনয়ে যাত্রা শুরু। বড় পর্দার চেয়ে ছোট পর্দাতেই বেশি দেখা গেছে। ‘গ্রে’জ অ্যানাটমি’, ‘গ্লি’, ‘ফ্রম ডাস্ক টিল ডান : দ্য সিরিজ’ তার উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিজ। ভবিষ্যতে আরও নিয়মিত অভিনয়ের পরিকল্পনাও আছে, ‘অভিনয়টাও আমি সমান উপভোগ করি। ব্যক্তিগত নানা ঝামেলায় নিয়মিত হতে পারিনি। সামনে কাজটা আরও বেশি করার ইচ্ছা আছে।’

 

টেইলর সুইফট

সংগীত তারকা টেইলর সুইফট অভিনেত্রী হিসেবেও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভেবেছেন। এর আগে অভিনয় করেছেন সিএসআই কিংবা নিউ গার্ল-এর মতো টিভি সিরিজগুলোতে। ভ্যালেন্টাইনস ডে ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে তিনি শখের অভিনয় বাদ দিয়ে অভিনয়ে সিরিয়াস হয়েছেন সম্প্রতি। গন উইথ দ্য উইন্ড, প্রিটি ওম্যান-এর মতো ক্ল্যাসিক ছবিগুলো রিমেকে তিনি সবার সামনে হাজির হয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর