শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলা ছবি দিয়ে অভিনয় শুরু সফল বলিউডে

বাংলা ছবি দিয়ে অভিনয় শুরু সফল বলিউডে

অভিনয়ের শুরুটা কলকাতার বাংলা ছবি দিয়ে, তবে আলোচনায় আসেননি। পরে হিন্দি ছবির মাধ্যমে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে।  তেমনই কয়েকজন বলিউড নায়িকার কথা গ্রন্থনা করেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

জয়া বচ্চন

সত্যজিৎ রায়ের মহানগর (১৯৬৩) চলচ্চিত্র দিয়ে বাংলা ছবিতে অভিষেকের পর জয়ার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ছিল ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘গুড্ডি’ (১৯৭১)। এরপর তিনি ঋষিকেশের হিন্দি উপহার (১৯৭১), কোশিশ (১৯৭২) ও কোরা কাগজ (১৯৭৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন।

 

শর্মিলা ঠাকুর

শর্মিলা ঠাকুরের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৫৯ সালে মুক্তি পাওয়া সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘অপুর সংসার’ দিয়ে। এই ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা। ১৯৬৯ সালে শক্তি সামন্তের পরিচালনায় বলিউডে আরাধনা চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে তিনি রাতারাতি দর্শকদের নজর কাড়েন। এতে তিনি বলিউডের সুপারস্টার রাজেশ খান্নার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।

 

রাখি গুলজার

১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বধূ বরণ’ ছবির মাধ্যমে সিনেমায় পা রাখেন রাখি। দিলীপ নাগ পরিচালিত এই ছবিতে কাজ করার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বলিউডের রাজশ্রী প্রোডাকশনের ‘জীবন-মৃত্যু’ ছবিতে ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে অভিনয়ের ডাক পান। এই ছবির মাধ্যমেই তারকাখ্যাতি পান তিনি।

 

বিদ্যা বালান

২০০৩ সালে বাংলা ছবি ‘ভালো থেকো’র মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। এতে তাঁর কোনো পরিচিতি আসেনি। ২০০৫ সালে বলিউডের হিন্দি ‘পরিণীতা’য় ললিতা এবং ২০০৬ সালে ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সাফল্য অর্জন করেন।

 

রানি মুখার্জি

রানির বাবা রাম মুখার্জি পরিচালিত বাংলা ‘বিয়ের ফুল’ (১৯৯৬) ছিল রানি মুখার্জি অভিনীত প্রথম ছবি। এতে তাঁর কোনো পরিচিতি আসেনি। ১৯৯৭ সালে ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ ছবি দিয়ে বলিউডের হিন্দি ছবিতে অভিষেক। ১৯৯৮ সালে হিন্দি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে সুপারহিট তারকা বনে যান তিনি।

 

সোহা আলী খান

মা শর্মিলা ঠাকুরের মতোই মেয়ে সোহা আলী খানের অভিষেক হয়েছিল বাংলা ছবিতে। ২০০৪ সালের ‘ইতি শ্রীকান্ত’ ছবি দিয়ে সোহার সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু। তবে একই বছর হিন্দি ছবি ‘দিল মাঙে মোর’ দিয়েই নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

 

কঙ্কনা সেন শর্মা

অভিনেত্রী হিসেবে কঙ্কনার অভিষেক ঘটে বাংলা সিনেমা ‘এক যে আছে কন্যা’ (২০০০) ছবির মাধ্যমে। কিন্তু সবার নজরে আসেন ইংরেজি ভাষার সিনেমা ‘মি. অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’ (২০০২) ছবির মাধ্যমে। এরপর হিন্দি  ছবি ‘পেজ-থ্রি’ (২০০৫)-এর মাধ্যমে তাঁর দর্শক স্বীকৃতি শুরু হয়।

 

রাধিকা আপ্তে

রাধিকা আপ্তে তেলেগু ও হিন্দি ছবির জনপ্রিয় নায়িকা হলেও তাঁর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল বাংলা ছবি দিয়েই। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘অন্তহীন’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় রাধিকার।

সর্বশেষ খবর