শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
চলচ্চিত্র জগতের জন্য সুখবর

জুনে তারকাবহুল ৬ ছবি

আলাউদ্দীন মাজিদ

জুনে তারকাবহুল ৬ ছবি

গত ঈদুল ফিতরের ছবি চলচ্চিত্রের দীর্ঘ খরায় কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। ঈদে মুক্তি পাওয়া তিনটি ছবি ‘গলুই’, ‘শান’ ও ‘ বিদ্রোহী’ দর্শক আনুকূল্য পেয়েছে।

দীর্ঘদিন পর ঢাকাই ছবির এমন সাফল্যে আশায় বুক বেঁধেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রদর্শকরা। একে চলচ্চিত্রের জন্য সুখবর বলছেন চলচ্চিত্রকাররা।

এই সুখবরের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী মাস অর্থাৎ জুনে মুক্তি পাচ্ছে তারকাবহুল বেশ কিছু আলোচিত ছবি। চলচ্চিত্রকারদের কথায়- হয়তো এসব ছবির সাফল্য ঈদের চলচ্চিত্রের সফলতার ধারাকে আরও বেগবান করবে।

জুনে তারকাদের যেসব ছবি আসছে সেগুলো হলো-

ইমন-জাকিয়া বারী মমর ‘আগামীকাল’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন অঞ্জন আইচ। কলকাতার নায়িকা শ্রাবন্তী ও শান্ত খান অভিনীত ‘বিক্ষোভ’, এ ছবির নির্মাতা শামীম আহমেদ রনি।

বুবলী ও আদর আজাদ অভিনীত ‘তালাশ’, এ ছবিটি নির্মাণ করেছেন সৈকত নাসির এবং মিথিলা অভিনীত অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অমানুষ’। এ ছাড়া একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে রকিবুল আলম রকিব নির্মিত ‘ভাইয়ারে’ ছবিটিও মুক্তি পাচ্ছে জুনের প্রথম সপ্তাহে।

চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সূত্রে জানা গেছে- জুনের প্রথম সপ্তাহে ‘ভাইয়ারে’ ও ‘আগামীকাল’, ১০ জুন ‘বিক্ষোভ’, ১৭ জুন ‘তালাশ’ এবং ‘অমানুষ’ ছবি সমিতিতে মুক্তির জন্য নিবন্ধিত হয়েছে।

এক মাসে একাধারে এতগুলো তারকাবহুল আলোচিত ছবি মুক্তি পেতে যাওয়াকে চলচ্চিত্রকাররা চলচ্চিত্রজগতের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, দেশের প্রধান গণমাধ্যম চলচ্চিত্রের সুদিন আবার ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা এবং চলচ্চিত্রজগতের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার।

মানসম্মত ও পর্যাপ্ত ছবি পেলে দর্শক আবার সিনেমা হলে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব নিয়ে ফিরে আসবে। এতে চলচ্চিত্রেরও সুদিন ফিরবে। চলচ্চিত্রের দীর্ঘ খরার পর এবারের ঈদের ছবির সাফল্য আবার আশার আলো জ্বালিয়েছে।

জুনে এবং আগামীতে ভালো ছবি মুক্তির মাধ্যমে এই সাফল্যের আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আরেক প্রখ্যাত নির্মাতা মতিন রহমান বলেন, ঈদের ছবির সাফল্য বলে দিচ্ছে দেশীয় চলচ্চিত্রের সুবাতাসের দিন শেষ হয়নি। দর্শক পছন্দের এবং সময়োপযোগী গল্প ও প্রযুক্তির নির্মাণ হলে যে সিনেমা হলে ছবি দেখতে আসে প্রমাণ এর আগে একাধিকবার পাওয়া গেছে। এবারের ঈদেও তাই হয়েছে। আসলে চলচ্চিত্রের মতো দেশের এই প্রধান গণমাধ্যমটির প্রতি যদি যত্নশীল হওয়া যায়, নির্মাতা আর শিল্পীরা যদি নিজেদের বিষয়টি নিজেদের নিয়মিত চর্চা ও গবেষণার মধ্যে নিয়ে আসেন তাহলে দর্শক চাহিদার কাছে যাওয়া যাবে। আর তা হলেই আমাদের চলচ্চিত্রের এই দৈন্যদশা কাটতে বাধ্য। চলচ্চিত্রের সুদিন চাইলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু শুধু হবে না, হচ্ছে না বলে বসে থাকলে তো এই দুর্দিন ঘুচবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর