বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পৃথিবী কাঁপানো কোরিয়ান চলচ্চিত্র

চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে সাউথ কোরিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আলাদা জায়গা দখল করে আছে। গত দেড় যুগে এই ইন্ডাস্ট্রি নিজেদের অনন্য ও দূরদর্শী শৈল্পিকতার বদৌলতে বিশ্বদরবারে বেশ পাকাপোক্ত একটি স্থান গড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। বিখ্যাত কিছু কোরিয়ান চলচ্চিত্র নিয়ে লিখেছেন- পান্থ আফজাল

পৃথিবী কাঁপানো কোরিয়ান চলচ্চিত্র

প্যারাসাইট

  কানে পাম ডি’অর জেতার পর বোদ্ধা থেকে আটপৌরে দর্শক সবারই চোখ পড়ে বং জুন-হোর এই শিল্পীত স্যাটায়ার নির্ভর মুভি প্যারাসাইটের ওপর। অস্কার ইতিহাসে সর্বপ্রথম কোরিয়ান সিনেমা হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় এটি। এ ছাড়াও শ্রেষ্ঠ পরিচালক, অরিজিনাল স্ক্রিনপ্লে, শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্মের ক্যাটাগরিতেও একাডেমির স্বর্ণমূর্তি জিতে নেয়। অন্যদিকে বাফটা, গোল্ডেন গ্লোবেও ছিল এর জয়জয়কার। এতে অভিনয় করেছেন সং কাং-হো, লি সান-কিউন, চো ইও-জিং, পার্ক সো-দাম, চোই উ-শিক প্রমুখ। ১১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্মিত ছবিটি আয় করেছে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার।

 

পয়েট্রি

পরিচালক লি চ্যাং-দংয়ের ‘পয়েট্রি’ স্নিগ্ধ বিন্যাসে এক বিদ্রোহের নাম। জগতের সবচেয়ে সুন্দর শিল্প কাব্য ও এর বিপরীত ধর্ষণকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প পয়েট্রি। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ইয়ুন জিয়ং-হি। ১৫ বছর পর অভিনয়ে ফিরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ইয়ুন হি। ফলাফল- কান, গ্র্যান্ড বেল, ব্লু ড্রাগনসহ বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জয় করে এটি।

 

দ্য হ্যান্ডমেডিয়ান

পার্ক চ্যান-উকের অসাধারণ ফিল্মোগ্রাফি ও বিশুদ্ধ অথচ জটিল সংলাপে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দ্য হ্যান্ডমেডিয়ান সিনেমায়। ওয়েলশ লেখিকা সারাহ ওয়াটার্সের ‘ফিঙ্গারস্মিথ’ উপন্যাসের আলোকে নির্মিত হয় ‘দ্য হ্যান্ডমেডিয়ান’। কিম মিন-হি, কিম তায়েরি, হা জুং-উ অভিনীত ছবিটির বিশ্বব্যাপী আয় ৪০ মিলিয়ন ডলার। ৭১তম ব্রিটিশ ফিল্ম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের পুরস্কারও জয় করে এটি।

 

ট্রেন টু বুসান

কোরীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় হয়েছে ‘ট্রেন টু বুসান’ দিয়ে। জম্বি কাহিনি নিয়ে বানানো হলিউডের ছবিগুলো যদি আপনার কাছে একঘেয়ে লাগতে শুরু করে, তাহলে স্বাদ বদলের জন্য দেখে ফেলুন এই ছবি। সিয়োক-য়ু ও সু-আন, বাপ-বেটির সঙ্গে আপনিও চড়ে বসুন ভয় আর আবেগমিশ্রিত এক রোমাঞ্চকর ট্রেনে! ১ ঘণ্টা ৫৮ মিনিটের ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইয়ন স্যাং-হো।

 

ওল্ড বয়

কিছু কিছু ছবি আছে, যা সিনেমা সম্পর্কে আমাদের ধারণা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান আমূল পাল্টে দেয়। ওল্ড বয় সে রকমই একটি ছবি। পার্ক চ্যান-য়ুক পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। ২০০৪ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ওল্ড বয় গ্রাঁ প্রি পুরস্কার পেয়েছিল। পাম দ্য-এর পর এটিই কান চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার।

 

 আ মোমেন্ট টু রিমেম্বার

সেরা রোমান্টিক ছবির তালিকায় জন এইচ লির ‘আ মোমেন্ট টু রিমেম্বার’কে ওপরের দিকে রাখতে চাইবেন অনেকেই। ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আ মোমেন্ট টু রিমেম্বার’র গল্পটি আবর্তিত হয়েছে চুল-সু ও সু জিন নামে দুই তরুণ-তরুণীর গল্প নিয়ে। মূল চরিত্রে রয়েছেন জাং য়ু-সাং, সন য়ি-জিন।

 

মিরাকল ইন সেল নাম্বার সেভেন

‘মিরাকল ইন সেল নাম্বার সেভেন’ একটি কমেডি ছবি। ছবির গল্প লি ইয়ং-গু নামে এক প্রতিবন্ধী বাবা আর তার মেয়ে য়ি-সিয়ুংকে নিয়ে। ছবিতে য়ি-সিয়ুং-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাল সো-য়োন।

 

দ্য অ্যাডমিরাল : রোরিং কারেন্টস

দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দ্য অ্যাডমিরাল: রোরিং কারেন্টস ছবিই দেখা হয়েছে সর্বাধিকবার, আয়ও করেছে সবচেয়ে বেশি। চোয় মিন সিক অভিনীত চলচ্চিত্রটি মুক্তির ১২ দিনের মধ্যেই পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। ১৫৯৭ সালের ঐতিহাসিক মিয়োংইয়েং-এর যুদ্ধ ওঠে এসেছে এই চলচ্চিত্রে। দ্য অ্যাডমিরাল ছবির পরিচালক কিম হান-মিন।

 

দ্য গ্যাংস্টার, দ্য কপ, দ্য ডেভিল

নিজের শিকার খুঁজতে খুঁজতে ভয়ংকর কিলারের মুখোমুখি হয় শহরের অন্যতম গ্যাংস্টার লর্ড ডং-স’র। আর তাকেই কি না হত্যা করতে যায় সিরিয়াল কিলার। এরকম গল্পের এই মুভির প্রযোজক হিসেবে ছিলেন র‌্যাম্বো খ্যাত সিলভেস্টার স্ট্যালন। ওন টাই লি পরিচালিত এই মুভিতে অভিনয় করেছেন ডং সেওক মা, মু-ইয়ল কিম, কিম সুংকু।

 

অ্যা বিটারসুইট লাইফ 

সিনেমার মূল চরিত্র করেছেন কিম সুন উ। সিনেমার সবচেয়ে ভালো দিক এর দুর্দান্ত অ্যাকশন দৃশ্যগুলো। এ ছাড়া স্পেশাল ইফেক্টও যথেষ্ট ভালো। নায়কের ‘বিটারসুইট লাইফ’ আপনাকে স্পর্শ করবে গভীরভাবে। পরিচালক জি-উন কিম।

 

মেমোরিজ অব মার্ডারস

১৯৮৬ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার শান্ত শহর হুয়েসিয়ংকে ওলটপালট করে দিয়েছিল এক কুখ্যাত সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা।

সেই সত্য ঘটনা অবলম্বনে জুন-হো বং নির্মাণ করেন মেমোরিজ অব মার্ডারস।

সর্বশেষ খবর