মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
বিশেষ সাক্ষাৎকার : আফজাল হোসেন

বাবা জানতে পারলে ভালো লাগত

বাবা জানতে পারলে ভালো লাগত

আফজাল হোসেন। জনপ্রিয় অভিনেতা হলেও নামের আগে নির্মাতা, চিত্রশিল্পী, লেখক, ফটোগ্রাফার পদবি যুক্ত করলেও ভুল হবে না। ১৭ জুলাই তিনি প্রিয় মাকে হারালেন। একই দিন তাঁর বাবারও মৃত্যুবার্ষিকী। এরই মধ্যে আজ এই নাট্যজনের জন্মদিন। সমসাময়িক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

একসময়ে কী অসামান্য নাটক-ধারাবাহিক নির্মিত হতো, এখন হয় না কেন?

নাট্যকার, শিল্পী, নির্মাতা-সবই আছে আগের মতো, শুধু নেই ডেডিকেশন, একাগ্রতা। সবাই অল্পতেই জনপ্রিয় হতে চায়। ফেসবুকের লাইক-কমেন্ট পেয়ে মনে করে তারকা হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশে এত এত তারকা! তারা নিজেরা যেমন নষ্ট হচ্ছেন তেমনি নষ্ট করছেন তাদের চারপাশ।

 

এই দায় কি এড়াতে পারেন?

এটি একটি সম্মিলিত কাজ। এককভাবে কাউকে দায়ী করা যাবে না। কেউই কারও জায়গায় সৎ নেই। একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। দেশের বাইরে যে ছবিগুলো পুরস্কারের জন্য পাঠানো হয় তার কয়টি মানসম্মত! বাজে ছবিগুলো কেন পাঠানো হয়? কারা পাঠান? এসব প্রশ্নের উত্তর সবাই জানি। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছেন না। কারণ যারা নিয়ন্ত্রক তাদের বিপক্ষে কেউ কথা বলতে চাইছেন না।

 

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির অনুভূতিটা কেমন?

যে কোনো কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। আমি খুবই আনন্দিত। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সারা জীবন অভিনয় করে গেছি। এমন সম্মানে সম্মানীত হব-এমন চিন্তা কখনো মাথায় আসেনি। অভিনয়কে ভালোবেসেই সব করেছি। রাষ্ট্র সম্মান জানিয়েছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দীর্ঘদিন কাজ করছি। আরও কাজ করে যেতে চাই।

 

আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল কি?

এসব নিয়ে আসলে আগে ভাবীনি। এত কিছু ভেবে তো আর অভিনয় করিনি। এতদিন ভালোবেসে শুধু এটা করে গেছি।

 

এই আনন্দের সংবাদে আর কে বেশি খুশি হতেন?

আমার বাবা জানতে পারলে খুব ভালো লাগত। বাবা এখন বেঁচে নেই। বাবা আমার অভিনয়, আঁকাআঁকি নিয়ে তেমন খুশি ছিলেন না। কিন্তু একটা স্যুটকেসে তিনি আমার ছবিসহ সব সংবাদ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন।

 

দীর্ঘদিন ফটোগ্রাফি ও পেইন্টিং করছেন। এসব নিয়ে এক্সিবিশন করার প্ল্যান রয়েছে কি?

ইচ্ছা রয়েছে এগুলো নিয়ে এক্সিবিশনের আয়োজন করার। তবে একটু সময় নিচ্ছি।

 

‘পেন্ডুলাম’ নিয়ে মঞ্চে ফিরছেন কবে?

গত বছরের শেষের দিকে করার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ও আমার কিছু কাজের ব্যস্ততায় ডেট পিছানো হয়েছে। শিশু একাডেমির যে ছবিটা বানাচ্ছি সেটি এখন এডিটিং প্যানেলে। সেটা নিয়ে একটু ব্যস্ত। তবে সময় নির্দিষ্ট করে অচিরেই মঞ্চে ‘পেন্ডুলাম’ নিয়ে ফিরব।

 

শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ নির্মাণ করছেন। নিজের কাজ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা থাকে?

আসলে আমি মাস বা বছরব্যাপী কোনো পরিকল্পনা করি না। করতেও চাই না। তবে যাই করি, নিষ্ঠার সঙ্গেই করি।

সর্বশেষ খবর