শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : তাহসান খান

যেই জীবনে আছি, সেই জীবন অনেক অর্থবহ

যেই জীবনে আছি, সেই জীবন অনেক অর্থবহ

জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান। কণ্ঠশিল্পী-অভিনেতার পাশাপাশি তিনি স্বনামধন্য মডেল, উপস্থাপক, সুরকার ও লেখক। প্রথমে গায়ক হিসেবেই মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন। একটা সময় ব্যান্ড মিউজিক করেছেন। এরপর একক ক্যারিয়ারে বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়ে আলাদা শ্রোতাশ্রেণি তৈরি করেছেন। তবে গানের পাশাপাশি অভিনয়ে আত্মপ্রকাশের পর ব্যস্ত হয়ে পড়েন লাইট-ক্যামেরার ভুবনে। যার ফলে নিয়মিত গান প্রকাশ করতে পারেননি। তবে এবার গানে নিয়মিত হচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন?

জি, ভালো আছি।

 

আবারও তাহসান ভক্তরা গানে নিয়মিত পাচ্ছেন আপনাকে। গানের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?

আমি কোনো সময়কেই আলাদা করে দেখিনি। আমার সংগীত ক্যারিয়ার ২০ বছরের। তখনো আমার গান শ্রোতারা পছন্দ করত, এখনো সমানভাবে করে। ভালো গান সবাই সব সময়ই শোনে। আমার গান ভালো হলে ভক্তরা শুনবে, না হলে শুনবে না। আমি মনে করি গান ভালো হলে সেগুলো বেঁচে থাকবেই।

 

নতুন একটি গান করেছেন। সেটি কবে আসবে?

এ বছর কিন্তু একটি গান বেরিয়েছিল। শিরোনাম  ‘যত ভুল’। আরেকটি গান প্রকাশের অপেক্ষায়, ‘সেই তুমি কে?’। গানটি আগামী মাসে প্রকাশ (সেপ্টেম্বর) হবে। এই মাসেই প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু শোকের মাস, তাই করা হয়নি। ‘সেই তুমি কে?’ গানটিতে একটু অন্যরকম বার্তা রয়েছে। যেই জীবনে আছি, সেই জীবন অনেক অর্থবহ।

 

এই জীবনটা কেমন?

আমি অনেক গ্রেটফুল একজন মানুষ। আমি সবসময় পরম করুণাময়ের কাছে গ্রেটফুল। আমার দিন শুরু হয় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে। আবার শেষ হয়ও একইভাবে। জীবন সত্যিই খুব সুন্দর।

 

সম্প্রতি দেশের বাইরে অনেক কনসার্টে অংশ নিয়েছেন। দেশেও করছেন। স্টুডিও নাকি স্টেজ- কোনটা আপনার কাছে বেশি কমফোর্টেবল জোন?

কনসার্ট তো হতেই থাকে। দেশে করেছি অনেক, এখনো করছি নিয়মিত। আর বিদেশে সম্প্রতি কিছু কনসার্ট করেছি। প্রতি মাসে ইভেন্ট থাকে। এই সপ্তাহে তিনটি ইভেন্ট ছিল। স্টুডিও থেকে স্টেজে গান বেশি উপভোগ করি। কনসার্টে ভক্তদের সঙ্গে কানেকশনটা দৃঢ় হয়। আমার গানের সঙ্গে ভক্তদের গলা মেলানো-অদ্ভুত একটি ফিলিংস! যতদিন আছি স্টেজে গান করে যাব।

 

বিরতি নিয়েই কাজ করতে হয়। আমার ক্যারিয়ারে সবসময়ই ছিল বিরতি। বিরতিগুলো ক্যারিয়ারকে প্রতিনিয়ত মজবুত করেছে। এই বিরতিই আমার গানের ভক্ত-শ্রোতাদের সঙ্গে আমার বন্ধন আরও গাঢ় করেছে।

 

মাঝে মাঝে গানের অঙ্গনে বিরতি, কারণ কী?

বিরতি তো শুরু থেকেই নিয়ে আসছি। ২০০২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ বছর গান করছি। এর মধ্যে বিরতি নিয়ে ফের গান করেছি। আসলে বিরতি নিয়েই কাজ করতে হয়। আমার ক্যারিয়ারে সবসময়ই ছিল বিরতি। বিরতিগুলো ক্যারিয়ারকে প্রতিনিয়ত মজবুত করেছে। এই বিরতিই আমার গানের ভক্ত-শ্রোতাদের সঙ্গে আমার বন্ধন আরও গাঢ় করেছে।

 

ইদানীং অভিনয়েও আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে না...

সবসময় বলি, আমি সেই মাধ্যমেই কাজ করব, যেটিতে ভক্তরা আমাকে নেবে। একসময় গানে যখন মনোযোগী হয়েছি, গান করেছি, গানের ভক্তরা পছন্দ করেছে বলেই গান করে গেছি। এবং এখনো যাচ্ছি। ব্যান্ডে গান করেছি, একক গান করেছি অনেক। স্টেজেও গান করছি। ভক্তরা পছন্দ করে বলেই তো! আর টিভিতে অভিনয় তো করেছি অনেক। তবে এই সময়ে অভিনয়ে নিজেকে আরেকটু মেলে ধরতে সময় চাই। ওটিটিতে একটা-দুটা ভালো কাজ হলে করব। আসলে কমার্সের বাইরে শিল্পসত্তাকে নিয়েও ভাবতে হবে। তাই শিল্পসত্তাকে মেলে ধরার জন্যই এই অভিনয়ে বিরতি। এখন গানে বেশি সময় দিচ্ছি। ভালো গল্প হলে অভিনয়ও করব, তবে সেটা কম।

 

মেয়ে আয়রাকে নিয়েই এখন আপনার পৃথিবী। জীবনে আরেক অধ্যায়ের শুরু নিয়ে ভেবেছেন?

হাহাহা... ‘সেই তুমি কে?’ গানের কথার মধ্যে এর উত্তর রয়েছে। গানটির ১২ লাইনেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার ভাবনা, জীবনবোধ এর মধ্যেই খুঁজে পাবেন।

সর্বশেষ খবর