শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : সাইমন সাদিক

হিরোইজম চাই না, অভিনয়ের জায়গা চাই

হিরোইজম চাই না, অভিনয়ের জায়গা চাই

ঢাকাই চলচ্চিত্রের নির্ভরযোগ্য নায়ক সাইমন সাদিক। ১০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি একের পর এক দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। অভিনয়ের জন্য নিজের অর্জনের ঝুলিতে পুরেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর বেশ কয়েকটি সিনেমা। দীর্ঘ চার বছর পর ‘লাইভ’ নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের মুখোমুখি হচ্ছেন আজ।  তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

এত হইচই, কোথায় (গতকাল) আপনি?

মার্কেটে। কিছু শীতের কাপড় কিনতে এসেছি।

 

এই সময়ে শীতের কাপড় কিনছেন, রহস্য কী?

হাহাহা... রহস্য তো আছেই! আসলে শীতের দেশে যাব। তবে শুটিং নয়, ঘুরতে।

 

আজ আপনার ‘লাইভ’র দিন...

দীর্ঘ চার বছর পর আমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সাইকো থ্রিলার গল্পের চলচ্চিত্র ‘লাইভ’। এটি নির্মাণ করেছেন শামীম আহমেদ রনি। আমি ছাড়াও অভিনয় করেছেন মাহিয়া মাহি ও আদর আজাদ চৌধুরী। আমার এ মুহূর্তে আটটি ছবি সেন্সর হয়ে আছে। এর মধ্যে এটি অন্যতম, যা নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। এ ছবিতে টানা ১৬ মিনিট অভিনয় করেছিলাম। যা সিনেমায় রাখা হয়েছে। কতটা মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে আমার মতো একজন অভিনেতা এটা একবারেই করতে পারে! আমি হিরোইজম চাই না, অভিনয়ের জায়গা আছে কি না সেটা চাই। পুরো গল্পটাই ছিল মনোযোগ দেওয়ার মতো। টিজারে রহস্যের যে ছায়া পাওয়া গেছে, তাতে মনে হয় পুরো গল্পটা একবার দেখতে বসলে দর্শক শেষ পর্যন্ত দেখবেন।

 

সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু এটির প্রচারণা তেমন করে দেখা যায়নি। আপনার অভিমত কী?

যেমন প্রস্তুতি, প্রচারণা আশা করেছিলাম তেমন করে প্রযোজনা সংস্থা করতে পারেনি। আমার কাছে আশানুরূপ হয়নি। আসলে ভালো গল্পের পাশাপাশি প্রচারণাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

 

সিনেমা হল ভিজিটে যাচ্ছেন?

ব্যক্তিগতভাবে আজ স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটি দেখতে যাব। তবে কাল আমি, মাহিসহ সবাই অফিশিয়ালি সিনেমা হল ভিজিটে যেতে পারি।

 

মাহির সঙ্গে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেছেন...

২০১৩ সালে জাকির হোসেন রাজের ‘পোড়ামন’ সিনেমা মুক্তির পাঁচ বছর পর মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘জান্নাত’ ও ‘আনন্দ অশ্রু’ করি। এরপর ‘লাইভ’ ছাড়াও আরও দুটি সিনেমা শাহীন সুমনের ‘গ্যাংস্টার’ ও শামীম আহমেদ রনির ‘নরসুন্দরী’ করেছি।

 

প্রায় ৩৫ বছর পর আবারও সিনেমা প্রযোজনা করছে বিএফডিসি। আর সেই প্রযোজিত সিনেমায় অভিনয় করছেন। বিষয়টি কতখানি আনন্দের?

বিএফডিসি প্রযোজিত ‘চাদর’ সিনেমা দুটি কারণে আমার কাছে খুবই স্পেশাল। এক হচ্ছে এটির নির্মাতা আমার ওস্তাদ জাকির হোসেন রাজু। তাঁর ছবিতে কাজ করতে যাওয়া আমার জন্য স্পেশাল। দীর্ঘদিন পর আবারও গুরু-শীর্ষ একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। অন্যটি হচ্ছে প্রায় ৩৫ বছর পর বিএফডিসি প্রযোজনায়, আর সেটির সঙ্গে আমি যুক্ত! আমার জন্য এটি খুবই আনন্দের ও গর্বের। এর মাধ্যমে ইতিহাসের অংশীদার হয়ে গেলাম।

 

এটিতে কবি চরিত্রে অভিনয় করবেন বুবলীর সঙ্গে। একসঙ্গে ‘মায়া’ করছেন, বাকি শুটিং কবে?

কখনো কবিতা লিখিনি। তাই এই চরিত্র ধারণ করা খুবই কঠিন। সে জন্য আমি প্রায় এক মাস ধরে ওস্তাদ জাকির হোসেন রাজুর তত্ত্বাবধানে রিহার্সেল করছি। আর ‘মায়া’র বাকি শুটিং সম্ভবত শুরু হবে নভেম্বরের দিকে।

 

আর ‘চাদর’-এর শুটিং...

শুটিংয়ে যাব ১৩ তারিখে। বুবলীও থাকবে।

 

‘জলরঙ’-এর খবর কী? মুক্তির অপেক্ষায় আপনার আর কী কী সিনেমা রয়েছে?

অপূর্ব রানার সরকারি অনুদানের এই সিনেমার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমার শিডিউল ঝামেলায় এটির বাকি শুটিং ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে হওয়ার কথা। ‘বাহাদুরী’, ‘নদীর বুকে চাঁদ’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অশ্রু ঘর’, ‘কাজের ছেলে’, ‘গ্যাংস্টার’সহ বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়।

 

চলচ্চিত্রে সুবাতাস বইছে...

এর মূল কারণ কিন্তু ভালো কনটেন্ট। পাশাপাশি প্রযোজক-পরিচালকরা দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে এবং বোঝাতে পেরেছেন যে, একটি ভালো কনটেন্ট আসছে। দর্শক হলমুখী হয়েছে। তবে প্রচারণা প্ল্যানও খুব গুরুত্বপূর্ণ এখন।

 

৬ সেপ্টেম্ব ছিল আপনার প্রিয় নায়ক সালমান শাহর প্রয়াণ দিবস। ভক্ত হিসেবে তাঁকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

তিনি এমন একজন নায়ক, যাঁকে মূল্যায়ন করার সাধ্য নেই কারও। প্রয়াণের এত বছর পরও যাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাঁর অভিনয়, স্টাইল, পোশাক ভাবনা, চলাফেরা, শখ, খামখেয়ালিপনা- সবই অন্যরকম! আমাদের দেশীয় সিনেমায় তিনি আইডল ছিলেন। অভিনেতা হিসেবে তিনি সবার মধ্যে সবার মতো করে ঢুকে যেতে পারতেন।  একজন ভক্ত হিসেবে আমার কাছে তাঁর সবই সুন্দর। তিনি সর্বদা তরুণ থাকবেন। শত বছরে এমন নায়ক একজনই আছেন; থাকবেন।

সর্বশেষ খবর