বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : ইমন

শিল্পীদের বিনয়ী হতে হয়

শিল্পীদের বিনয়ী হতে হয়

চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ভালো গল্প ও কনসেপ্ট পছন্দ হলে ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করছেন। সম্প্রতি সাইদুল ইসলাম রানার ‘বীরত্ব’ সিনেমায় তিনি অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন।  তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

রাজবাড়ী থেকে এসেছেন?

হুমম... এখন ঢাকায়। রাজবাড়ীতে ‘বীরত্ব’র টিম নিয়ে হল ভিজিটে গিয়েছিলাম। এত মানুষ আর তাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ আমি। ভালো কিছু সময় কাটল রাজবাড়ীর মানুষের সঙ্গে। সবাই খুব হেল্পফুল ও আন্তরিক। এরপর সবাই হল ভিজিটে গিয়েছিলাম ফরিদপুরের ‘বনলতা’ সিনেমা হলে। রাজবাড়ী, দৌলতদিয়া, গোয়ালন্দ ও ফরিদপুরে ‘বীরত্ব’ ছবির শুটিং করেছিলাম।

 

কোন হলে গিয়েছিলেন?

রাজবাড়ীর ‘সাধনা’ সিনেমা হলে (বড়পুল) গতকাল ২টা ৩০ মিনিটে যাই। আমার সঙ্গে নির্মাতা রানা, নিপুণ আপুসহ ‘বীরত্ব’ টিমের অনেকেই ছিলেন। সকাল ৯টায় রওনা দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে একটু বিলম্ব হয়। তবে এরপর ঠিকঠাক রাজবাড়ীতে পৌঁছতে পেরেছি সবাই।

 

কেমন লাগল রাজবাড়ী শহর?

রাজবাড়ীর চমচম খেয়েছেন?

অসাধারণ! নিজের গ্রামের পরে যদি কোনো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন স্থানের নাম বলতে হয় তবে রাজবাড়ীর নাম আসবে।  সেখানের মানুষ, রাস্তাঘাট, সুন্দর-ছিমছাম পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। শুটিংয়ের পর প্রায়ই শহর দেখতে যেতাম আমি, সালওয়া ও রানা ভাই। আর হ্যাঁ, এখনো রাজবাড়ীর বিখ্যাত চমচম মুখে লেগে আছে। কী সুস্বাদু ভাঁদু শাহের (নির্মল মিষ্টান্ন ভান্ডার) চমচম! শুটিংয়ের সময় আমরা টিমের সবাই এই মিষ্টি খেয়েছি। নিয়েও এসেছিলাম। এবারও কিছু প্যাকেট চমচম রাজবাড়ী থেকে এনেছি। ফরিদপুরের তেঁতুলতলার রসগোল্লাও চমৎকার!

 

ঢাকার কোন হল ভিজিটে গিয়েছিলেন?

মিরপুরের সনি স্কয়ার, আনন্দ সিনেমা, চিত্রা মহল, যমুনা ব্লকবাস্টার, সাভারের চন্দ্রিমা, বিজিবিসহ বেশ কয়েকটি হলে গিয়েছি। আজ বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে যাব। ৩৪ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে নাটকীয়তা, ক্রাইম, থ্রিলার ঘরানার এই ছবিটি। মুক্তির প্রথম দুই দিন বেশির ভাগ শো হাউসফুল গেছে। পাশাপাশি সিনেমার দর্শক ‘বীরত্ব’ দেখে মুগ্ধতার কথা বলছে।

 

আপনার অভিনয়ে মুগ্ধ সবাই...

কিছু ছবি থাকে যেগুলো বলার মতো কাজ হয়। আমি মনে করি, বীরত্ব আমার ক্যারিয়ারে বলার মতো একটি ছবি। আমাকে নিয়ে আগে-পিছে যারা বিভিন্ন কথা বলে তাদের বলব অবশ্যই ‘বীরত্ব’ দেখুন। শুধু সিনেপ্লেক্স নয়, সিঙ্গেল স্ক্রিনের দর্শকরাও প্রশংসা করছেন। দর্শকের এসব মতামত আমাকে যেমন সাহস দিচ্ছে তেমন অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। হলে সিনেমা দেখার সময় দর্শকরা ইমন ইমন করে চিল্লাচ্ছে। মন থেকে ভালো লেগেছে।

 

নির্মাতা হিসেবে রানাকে কত মার্ক দেবেন?

একশতে এক শ! হা হা হা...। রানা ভাই তো চমৎকার একজন মানুষ। তিনি অনেক ডেডিকেশন আর প্রতিবন্ধকতার মাঝে কাজ করেছেন এবং এই সিনেমাটা বানিয়েছেন। এ জন্য আমি ধন্যবাদ ও একই সঙ্গে তাঁকে অভিনন্দন জানাই। রানা ভাই ভীষণ কষ্ট করেছেন।

 

সিনেমাটি দর্শক এতটা গ্রহণ করবে, তা কখনো কি ভেবেছিলেন?

সিনেমার গল্প শুনেই বুঝেছিলাম কিছু একটা হতে যাচ্ছে। আমার চরিত্রটাও ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। সবমিলিয়ে মানুষ পছন্দ করবেন বলে আশা করেছিলাম। অন্যদিকে এখন আমাদের সিনেমায় সুবাতাস বইছে। তাই প্রত্যাশা ছিল সবাই সিনেমাটি দেখবে। দর্শককে ধন্যবাদ জানাই, সিনেমাটি হলে এসে দেখার জন্য।

 

বাংলা সিনেমার দর্শক হলে ফিরছে...

যে হল মালিকরা কয়েক দিন আগে তাঁদের হলে হিন্দি সিনেমা চালানোর জন্য জোরদার হয়েছিলেন, এখন তাঁরাই আবার হল থেকে হলিউড মুভি নামিয়ে বাংলা সিনেমা মুক্তি দেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটা খুবই ইতিবাচক। আমি তো বলব, হাওয়া ও পরাণ বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আশীর্বাদ। এর জন্য ডিরেক্টর, প্রযোজক, আর্টিস্ট ও পুরো টিমকে অভিনন্দন। মূল ক্রেডিট দর্শকদের। 

 

মুক্তির অপেক্ষায় কোন সিনেমা রয়েছে?

‘কানামাছি’ ও ‘কাগজ : দ্য পেপার’ আছে। তবে এখন শুধু ‘বীরত্ব’ নিয়েই ভাবতে চাই। সিনেমাটি দর্শককে দেখাতে চাই।

 

মাল্টিকাস্টিং ছবিতে কাজের ইচ্ছা...

অবশ্যই। এখন কাজের সুযোগ আছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। আর সর্বদা অভিনয়টাই করতে চেয়েছি।

 

শিল্পীদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি...

এটা ঠিক নয়। সিনিয়র-জুনিয়র রেসপেক্ট থাকা উচিত। এত দিনের ক্যারিয়ারে কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়নি আমার। এখনো সবাই ভালোবাসেন। আসলে শিল্পীদের বিনয়ী হতে হয়।

 

ওটিটি নিয়ে কতখানি ইতিবাচক?

শতভাগ। এটি বিশাল প্ল্যাটফরম। ভালো গল্পের অফার এলে করব। একটাই যথেষ্ট। তবে গল্পই তো খুঁজে পাচ্ছি না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর