শিরোনাম
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : আরফিন রুমি

গান যেমন পছন্দের তেমনি ক্রিকেট খেলাটাও

গান যেমন পছন্দের তেমনি ক্রিকেট খেলাটাও

তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আরফিন রুমি। অসংখ্য জনপ্রিয় গান শ্রোতাদের উপহার দেওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীকে তিনি সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছেন।  ব্যক্তিগত কিছু কারণে কয়েক বছর ছিলেন গানের বাইরে। সেই বিরতি কাটিয়ে ফের নতুন উদ্যমে নিয়মিত গান করছেন।  তার সঙ্গে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? বাসায় মায়ের সঙ্গে আছেন?

আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। হ্যাঁ, মায়ের সঙ্গেই আছি এখন।

 

গানে এত দিনের লম্বা বিরতি কেন নিয়েছিলেন?

মিউজিক আসলে শেখার শেষ নাই। যেহেতু আমি সংগীতশিল্পীর পাশাপাশি গান লিখি ও সুর করি, সেহেতু এই সময়টাই নিজেকে একটু ঝালিয়ে নিলাম। সুর ও লেখার দিকে বেশি করে নজর দিলাম। এগুলো করতে গিয়েই একটু বিরতি নিয়েছিলাম। কাজ কম করেছি, কিন্তু গান যে কিছু প্রকাশ হয়নি তা নয়। বছরে একটা হলেও কাজ করেছি কিন্তু। ১২ মাসে ১টা কাজ-এমন করে তো কাজ হয় না। তাই অনেক ভক্ত-শ্রোতা বলে থাকে, আমি গানে নেই কেন? আগে তো বছরে ৩০-৪০টা কাজ করতাম। সেজন্য ওই সময়ের মতো ফের নিজেকে গানে নিয়মিত রাখতে আসছি। আশা করছি, নিয়মিতই গান পাবেন।

 

এই সময়টা কীভাবে কেটেছিল?

আমি ধর্মচর্চায় ব্যস্ত ছিলাম। সংগীতচর্চায়ও ব্যস্ত ছিলাম। হারমোনিয়াম নিয়ে, গিটার প্র্যাকটিস, ক্লাসিক্যাল মিউজিকে নিজেকে ডেভেলপ করা। যা জানি আর যা জানি না-উভয় বিষয় নিয়েই বিশদ জানার ট্রাই করেছি। এর মাধ্যমে যদি কিছু ভালো গান ব্রেল্ড করতে পারি, তাহলে তো ভালো।

 

আরফিন রুমি মানেই একটা ক্রেজ ছিল। সেই আগের রুমিকে শ্রোতারা খুঁজে পাবে?

রুমি তো রুমির মতোই কাজ দেবে, তাই না? তবে এখন রুমির মতো আরও ১০ জন আসবে, এটা মেনে নিতে হবে। তবে রুমি একটা কাজ করছে-সেটা হচ্ছে পথ দেখাইছে। আমার সময় তো অনেক স্মার্ট মিউজিক হতো। আমি নিজেই শুনেছি। হাবিব ভাই, ফুয়াদ ভাই সে রকম মিউজিক করতেন। কিন্তু আমি যেই গানটি করেছি বা প্রডিউজ করেছি ফাইনালি, সেটা কিন্তু ঢোল-তবলার মিউজিক। একটু রিভারস করেছি আরকি। সে সময় আমার মতো অনেকেই কাজ করা শুরু করল। সেটা কিন্তু খুশির খবর। যখন আপনার সম্পত্তির ওয়ারিশ হয় আপনার সন্তান, তেমনি মিউজিক ক্যারিয়ারে ওয়ারিশ হবে আপনার শিষ্যরা। এখন যারা কাজ করছে বা যারা এখনকার টপমোস্ট লেভেলে কাজ করছেন, তাদের কারও বয়সে ছোট আমি অথবা বড়-সব মিউজিশিয়ানদের গুরু হিসেবেই কাজ করেছি। পথ দেখায় দিয়েছি। ক্যারিয়ারে টাকার পেছনে কখনই ছুটিনি। এখনো ছুটতে চাই না। কাজ করলে টাকাই পেছনে পেছনে ঘুরবে, কী বলেন?

 

অনেকেই বলে আপনি কিছুটা প্রচারবিমুখ...

আমি আমার কাজ করেই যাব। কেউ যদি নিউজ না করে বা আমার কথা না বলে, ভুলে যায়, তবুও আমি গানই করব। প্রায় ১৮ বছর কিন্তু হয়ে গেছে আমার মিউজিক ক্যারিয়ারের। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আমি আমার কাজটাই করে গেছি। কে মনে রাখল বা নিউজ করল কি করল না-সেটা ভেবে তো কাজ নাই! যখন আমার সময় ছিল, তখন সাংবাদিক ভাই-বন্ধুরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। এই সময়েও অনেকে পাশে আছেন-প্রচার কিন্তু সব সময়ই হচ্ছে। আমি লাকি সর্বদা সবার সাপোর্ট পেয়েছি। এখন নতুনরা ভালো করছে-তাদের প্রচার-প্রসারেও সবাই আছে মনে করি। নিজেকে জাহির করার জন্য মিউজিক করা যাবে না। সৃষ্টিশীল বিষয়েই আমরা আছি। রুমি কই কই? রুমি নাই নাই! কিন্তু আমি আবার ব্যাক করেছি। ৩৬ বছর পার করেছি। আমাকে নেন না-ওই সময় তো এখন আর আমার নাই। মন চাইলে এখন কাজ করব। না হলে না।

 

নতুনদের প্রসঙ্গে কী বলবেন?

তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ‘শুরুতে একটা জিনিস থাকবে, নিজেকে চিনলে ভালো লাগে। ভালো লাগাটা শেষ হওয়ার পর রিয়েল মিউজিকে আসবে। এই সময়ে অনেকে চিনবে, জানতে চাইবে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে নিজেদের কাজ। সেটাই তোমাদের চেনাবে। কাজ করায় আগ্রহী করবে।

 

এর আগে একসঙ্গে ৩০ গানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। নতুন আরও গান আসবে?

বৃষ্টিটা যেমন অনেক দিন পর আসে, তেমনি একসঙ্গে আমার এতগুলো গান। তবে এটি আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আগে আমি নিয়মিতই মাসে পাঁচ-ছয়টি করে গান মুক্তি দিতাম। এমনও হয়েছে, টানা ২৮ দিনে ২৮টা গান তৈরি করে ইউটিউবে মুক্তিও দিয়েছি।

 

নতুন একটি ফিল্মের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন...

‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’-সিনেমায় সুন্দর একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। গানেরও সুরও আমার করা। এই সিনেমায় বাকি ৩টি গানের কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার মেহরিন, শফিক তুহিন, কোনাল, সিঁথি সাহা, পূজা,  সৈয়দ অমি।

 

গানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে ক্রিকেট খেলতেন...

প্রচুর। সত্যি কথা বলতে, গান যেমন পছন্দের তেমনি ক্রিকেট খেলাটাও। আই লাভ ক্রিকেট।

 

সবাই বলে রুমি মাতৃভক্ত। আপনার কী মত?

একদম! আমি সব সময়ই মায়ের ভক্ত ছিলাম, আছি ও থাকতে চাই।

সর্বশেষ খবর