শিরোনাম
রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সর্বকালের সেরা ছবি ‘পথের পাঁচালী’

শোবিজ ডেস্ক

সর্বকালের সেরা ছবি ‘পথের পাঁচালী’

সত্যজিৎ রায়; এই একটি নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রের অনেক গৌরব ও ইতিহাসের গল্প। তাঁর অনবদ্য সব সৃষ্টি সময়ের সীমান্ত ভেদ করে এখনো মুগ্ধতা ছড়ায়। অস্কারজয়ী এই নির্মাতার প্রথম সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’। যা মুক্তি পায় ১৯৫৫ সালে। বিভিন্ন প্রজন্মের দর্শকের কাছে এটি অসামান্য ভালোবাসা পেয়েছে। এবার এলো সমালোচকদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। ইন্টারন্যাশনাল  ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস (ফিপরেস্কি)-এর জরিপ অনুসারে, ভারতের সর্বকালের  সেরা সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’। শতাধিক ভাষার  দেশ ভারতের সব ইন্ডাস্ট্রির সিনেমাকে টপকে সেরার খেতাব  পেল সত্যজিতের এই অমর সৃষ্টি। গত ২০ অক্টোবর বিশেষ এই তালিকা প্রকাশ করেছে ফিপরেস্কি-ইন্ডিয়া বিভাগ। সংগঠনটির ৩০ জন সদস্যের ভোটে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে স্থান পেয়েছে ১০টি সিনেমা। এর মধ্যে পাঁচটি হিন্দি, তিনটি বাংলা, একটি মালায়লাম ও একটি কন্নড় ভাষার সিনেমা। জনপ্রিয় ইন্ডাস্ট্রি তামিল ও তেলেগুর কোনো সিনেমা তালিকায় স্থান পায়নি। ফিপরেস্কির এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঋত্বিক ঘটক নির্মিত বাংলা সিনেমা ‘মেঘে ঢাকা তারা’ (১৯৬০)।  এরপর যথাক্রমে রয়েছে- মৃণাল সেন নির্মিত ‘ভুবন শোম’ (১৯৬৯), আদুর গোপালকৃষ্ণানের ‘এলিপ্পাথায়াম’ (১৯৮১), গিরিশ কাসারাভাল্লি পরিচালিত ‘ঘটশ্রদ্ধা’ (১৯৭৭), এমএস সাথ্যু নির্মিত ‘গরম হাওয়া’ (১৯৭৩), সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ (১৯৬৪), শ্যাম বেনেগালের ‘অঙ্কুর’ (১৯৭৪), গুরুদত্তের ‘পিয়াসা’ (১৯৫৭) ও রমেশ সিপ্পি নির্মিত ‘শোলে’ (১৯৭৫)। উল্লেখ্য, ‘পথের পাঁচালী’র মাধ্যমে শুধু সত্যজিৎ রায়ের অভিষেক হয়নি, বাংলা তথা পুরো উপমহাদেশের চলচ্চিত্রে নতুন এক ধারা জাগ্রত হয়। যা ক্রমশ পরিণত হয়ে এখন অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। পরবর্তীতে এর দুটি সিক্যুয়েল নির্মিত হয়। এগুলো হলো- ‘অপরাজিতা’ ও ‘অপুর সংসার’। তিনটি সিনেমাকে একসঙ্গে অপু ট্রিলজি বলে অভিহিত করা হয়। উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস (ফিপরেস্কি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে। কান চলচ্চিত্র উৎসব, টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ভিয়েনা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে তারা পুরস্কার দিয়ে থাকে।

১৯৫৫ সালের ৩ মে নিউইয়র্ক শহরের মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টের একটি প্রদর্শনীতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ও পরে সেই বছরই কলকাতা শহরে মুক্তি লাভ করলে দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে। সমালোচকরা চলচ্চিত্রটিতে বাস্তবতাবাদ, মানবতা ও গুণমানকে প্রশংসা করেন। এই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অর্থের সমস্যা থাকায় নির্মাণকার্য ব্যাহত হয় এবং দীর্ঘ তিন বছর পর তা সম্পন্ন হয়। অপেশাদার ও অনভিজ্ঞ শিল্পীদের নিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।

সর্বশেষ খবর