দেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসসমৃদ্ধ ফেনী জেলায়। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রাচীনতম বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে ফেনীতে ছিল উৎসবের আমেজ। দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়ে ইত্যাদির ধারণ হয়। জেলা প্রশাসন ও ফেনী পৌরসভার আন্তরিক সহযোগিতায় সুশৃঙ্খলভাবে ধারণ সম্পন্ন হয়। দর্শকদের তালিবৃষ্টি আর আনন্দ-চিৎকারে গোটা ফেনী শহরই যেন সেদিন আনন্দনগরীতে পরিণত হয়েছিল। এবারের অনুষ্ঠানে আধুনিক ও ফোকের ফিউশনে একটি দ্বৈত সংগীত গেয়েছেন পান্থ কানাই ও ডলি সায়ন্তনী। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। রয়েছে ফেনী জেলাকে নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচ। গানটির কথা লিখেছেন মনিরুজ্জামান পলাশ, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি, কণ্ঠ দিয়েছেন তানজিনা রুমা, পুলক ও রিয়াদ। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল। এবারের পর্বে রয়েছে কয়েকটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে ফেনীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ এবং কীর্তিমান ব্যক্তিদের ওপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। রয়েছে ফেনীর সীমান্তবর্তী মানুষের সুখ-দুঃখ, জীবনযাপনের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বিত্তহীন গনি মিয়ার ওপর রয়েছে একটি মানবিক প্রতিবেদন। পীরগাছা মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক প্রকৃতিপ্রেমিক রফিকুল হাসানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ওপর রয়েছে একটি সচেতনতামূলক প্রতিবেদন। রয়েছে ফেনীর প্রচারবিমুখ সমাজকর্মী মঞ্জিলা আক্তার মিমির ওপর একটি উদ্বুদ্ধকরণ প্রতিবেদন। বিদেশি প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বে রয়েছে আমেরিকার মিনেসোটা রাজ্যের রচেস্টার শহরে অবস্থিত বিশ্বসেরা মেয়ো ক্লিনিকের ওপর একটি প্রতিবেদন। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণ স্থান ফেনীকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে হাজার হাজার দর্শকের মাঝখান থেকে চারজন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকরা আঞ্চলিক ভাষায় একটি নাট্যাংশে অভিনয় করেন। দর্শকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী, ফেনীকন্যা শমী কায়সার। এই পর্বে হানিফ সংকেতের সঙ্গে রয়েছে তাঁর একটি ভিন্নরকম সাক্ষাৎকার। ফেনীর মঞ্চে ছিল যথারীতি সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। এ ছাড়াও মঞ্চে ফেনী অঞ্চলের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা নিয়ে নাটিকাতে অভিনয় করেছেন ফেনীর কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী। নিয়মিত পর্বসহ এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষè নাট্যাংশ। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন। ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
