মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : ইমন

ইন্ডাস্ট্রির আপস অ্যান্ড ডাউনস থাকবেই

ইন্ডাস্ট্রির আপস অ্যান্ড ডাউনস থাকবেই

চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন। ২০০৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর নানা বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ভালো গল্প ও কনসেপ্ট পছন্দ হলে ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনেও কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

পবিত্র সাওমের মাস কীভাবে কাটছে?

আলহামদুলিল্লাহ! এটা তো একটা বিশেষ মাস। ধর্মীয় দিক থেকে এটা শ্রেষ্ঠ মাস। কাজও চলছে আবার এর ফাঁকে প্রত্যেকটি রোজা রাখারও চেষ্টা করছি। নামাজ পড়ছি। সবমিলিয়ে আমার কাছে এই মাসটা রহমতের। আসলে যখন রোজার মাস আসে তখন সময়গুলো খুবই সুন্দর কাটে আমার।

 

এ মাসে খাদ্যাভ্যাসের কি কোনো পরিবর্তন ঘটেছে?

ছোটবেলা থেকেই খুব বেশি ভাজাপোড়া খাওয়া হতো। এখন ভাজাপোড়াটা কম খাওয়া হয়। তবে বেগুনি আমার খুবই পছন্দ। এটি পেলে আমি লোভ সামলাতে পারি না একদম। এর সঙ্গে খেজুর ও অন্যান্য ফল খাওয়া হয়। আর সাহরি খাওয়া তো বরকতময়। সাহরিতে একদম হালকা খাবার খাই। এক গ্লাস দুধ খেলাম বা দু-একটা খেজুর আর পানি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে গেলাম, এই আর কী! আর রাতে তো ডিনার করা হয়ই। 

 

নতুন কোনো সিনেমায় কাজ করছেন?

আমাদের একটা প্ল্যানিং প্রোগ্রাম হচ্ছে। এটার প্রিপ্রোডাকশন শেষ হতে হতে হয়তোবা রোজা শেষ হয়ে যাবে। আমরাও চাচ্ছিলাম না রোজাতেই শুরু করি। তবে ঈদের পর কাজ শুরু করব পুরোদমে।

 

কাজটি নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে?

যতক্ষণ পর্যন্ত প্রোপার টেবিলওয়ার্ক না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না। সময়মতো সবাইকে জানাব।

 

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন?

দেখুন, ইন্ডাস্ট্রির আপস অ্যান্ড ডাউনস থাকবেই। এগুলো নিয়ে এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি সবসময় চেষ্টা করি, ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে ভালো কাজ করতে। এখন এসবের মধ্য দিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

 

জয়া-বাঁধনরা বলিউডে কাজ করেছেন। আপনার কবে অভিষেক হবে?

জয়া আপাকে অভিনন্দন, বাঁধনকে কংগ্রাচুলেশন! আমি মনে করি, একজন অভিনেতার সারা পৃথিবীতেই কাজ করার অধিকার রয়েছে। শুধু বলিউড হবে কেন, হলিউডও হতে পারে। যে কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে হতে পারে। তো সেরকম সুযোগ বা অফার যদি আমার কাছে আসে তখন আমিও হয়তো একদিন করব। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের কাজ নিয়েই ব্যস্ত।

 

কোন কাজগুলো মুক্তির অপেক্ষায়?

অঞ্জন আইচের ‘কানামাছি’ মুক্তির অপেক্ষায়। গত বছর তার নির্মিত আরেকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল, একটু কমেডি বেইজ ঘরানার। এর আগে দুটি সিরিয়াস টাইপের ছবি করেছিলাম। সেগুলো মুক্তির অপেক্ষায়। এ বছর হয়তো কিছু ভালো কনটেন্টের সিনেমা করব ইনশা আল্লাহ। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।

 

একটি সিনেমা ভালো হওয়ার পেছনে কার অবদান বেশি?

আমার মনে হয় পরিচালকের যত্ন করে নির্মাণ করার পাশাপাশি আর্টিস্টেরও দায়িত্ব রয়েছে অনেক। ক্যারেক্টারে কতটা মনোনিবেশ করতে পারবেন আর্টিস্ট, সেটি খুবই দরকার। দেখুন সাইদুল ইসলাম রানার ‘বীরত্ব’ ছবি করার সময় আমি সব ধ্যান ও চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে শুধু আমার ওই ক্যারেক্টারেই মনোসংযোগ করেছিলাম। ক্যারেক্টারটা যেহেতু ভালো পেয়েছি। একটা ভালো কাজ করতে আর্টিস্টেরও ভাগ্য লাগে। তো সবমিলিয়ে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকা উচিত আর্টিস্ট ও ডিরেক্টরের।

 

দর্শকের রুচিবোধের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে করেন?

এটা তো এ মুহূর্তের ভাইরাল বিষয়! আমাদের ছয়টি ঋতু আছে। প্রতিটি ঋতুর সঙ্গে আমার জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শীতকালে জ্যাকেট পরব, গরমকালে টি-শার্ট। এখন যে কন্ডিশনে আছি আমরা, তার মধ্যেই আমাদের ভালো কাজ করে যেতে হবে। অন্য কে কী করছে, সেগুলো আমার কাছে প্রাধান্য পায় না। চেষ্টা করি, আমার রুচির সঙ্গে দর্শকের রুচির সংযোগ যেন হয়। তবে তা অবশ্যই ভালো কাজ দিয়ে।  

 

অ্যাক্টরস ইকুইটির মতো শিল্পী সমিতিরও লিগ্যাল উইংস গঠনের উদ্যোগ রয়েছে?

অবশ্যই আছে। সামনে আমাদের শিল্পী সমিতির উদ্যোগে আইন উপদেষ্টা রেখে লিগ্যাল উইংস গঠন হবে।

 

চলচ্চিত্রে নায়ক-নায়িকা সংকট, সত্য?

আমার মনে হয় না। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। যথেষ্টসংখ্যক নায়ক-নায়িকা রয়েছে আমাদের চলচ্চিত্রে। আপনি যদি লিস্ট করেন ১০ জন নায়ক এবং ১০ জন নায়িকা বের হবে। তারা সবাই কোয়ালিফাইড। তবে নায়ক-নায়িকা সংকট না থাকলেও ছবির সংকট আছে। আসলে সবাইকে প্রোপারলি ব্যবহার করতে পারছেন না কেউ। এসব সামঞ্জস্য করতে পারলে কোনো সংকটই থাকবে না।

 

প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী?

অনেককেই ভালো লাগে। আমার উত্তম কুমারকে ভালো লাগে। আমির খানকে ভালো লাগে তাঁর ন্যাচারাল অ্যাক্টিংয়ের জন্য। সালমান শাহকে ভালো লাগত তাঁর স্টাইল ও অভিনয়ের জন্য।

 

মাল্টিকাস্টিং ছবিতে কাজের ইচ্ছা...

অবশ্যই আছে। কাজের সুযোগ রয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।

সর্বশেষ খবর