এই সময়ের শোবিজ অঙ্গনের চিরচেনা নাম ইয়াশ রোহান। একই সঙ্গে ছোট পর্দা-বড় পর্দায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর ‘মায়াবতী’, ‘দেশান্তর’, ‘পরাণ’ সহ বেশ কয়েকটি কাজ উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে মূলত নাটকেই ব্যস্ততা বেশি তাঁর। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
কেমন ব্যস্ততা যাচ্ছে এখন?
ব্যস্ততা বলতে এখন আমি নাটক, টেলিফিল্ম এবং ওটিটির কাজ নিয়েই আছি। শোবিজের সব মাধ্যমেই কাজ করার চেষ্টা করছি। এরমধ্যে কিছু কাজ শেষ করেছি।
দীর্ঘদিন কোনো নতুন সিনেমায় কাজের খবরও দিচ্ছেন না...
শিগগিরই নতুন কাজ নিয়ে জানাব। একটু অপেক্ষা করতে হবে।
ইতোমধ্যে ‘ইতিবৃত্ত’ নাটকটি দর্শক প্রশংসিত হয়েছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
আসলে সব অভিনয়শিল্পী খুব মন দিয়ে কাজটি করেছেন। নিজেও প্রচুর পরিশ্রম করেছি। মনে হয়েছিল কাজটি সবার ভালো লাগবে। ওই জায়গা থেকে খুব আশাবাদী ছিলাম। এখন খুবই ভালো লাগছে নাটকটি দর্শক দেখছেন বলে। আমাদের আশা পূরণ হয়েছে। দর্শকের কাছে একটি কাজ তখনই গ্রহণযোগ্য হয় যখন তার গল্প ও চরিত্র ভালো লাগে। আমার কাছে গল্প ও চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ। গল্পে ছিল বাস্তবতার ছাপ। সঙ্গে বার্তাও রয়েছে। আর দর্শক সারপ্রাইজড হয়েছে দর্শনা বণিককে দেখে। সব মিলিয়ে দর্শক কাজটি পছন্দ করেছেন।
ওপার বাংলার দর্শনার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা?
দর্শনার সঙ্গে এটি আমার প্রথম অভিনয়। মনেই হয়নি প্রথম কাজ করেছি। উত্তরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় মাত্র চার দিন একসঙ্গে আমাদের কাজ হয়েছে। বেশ পেশাদারি একজন শিল্পী দর্শনা। টাইমলি সেটে এসেছেন। কাজের ব্যাপারে ডেডিকেশন আছে। বেশ সহযোগিতাপরায়ণও।
বড় পর্দা, ছোট পর্দা এবং ওটিটি সবখানেই কাজ করছেন...
আসলে একজন অভিনেতা সবখানেই অভিনয় করতে পারেন। বড় পর্দা, ছোট পর্দা এবং ওটিটি বিষয় নয়। আমি একটি ইউটিউবের জন্য নাটক করতে গেলেও ওখানে অভিনয় করি, ফিচার ফিল্মেও একই কাজ করছি। অভিনয়টাই আমার কাছে মুখ্য। মাধ্যম যেটিই হোক ভালো অভিনয় করে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে দর্শক মনে রাখেন।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমায় অভিনয় করেছেন...
স্বপ্নজাল আমার জন্য বিরাট একটা ব্রেক ছিল। অসম্ভব সুন্দর একটি প্রেমের সিনেমা। আর পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম আমার মেন্টর। তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
শিল্পী পরিবারে আপনার জন্ম। বাবা নরেশ ভুঁইয়া ও মা শিল্পী সরকার অপু কতটা সমর্থন দিচ্ছেন?
প্রথমদিকে বাবা চাইতেন না অভিনয় করি। মা চাইতেন অবশ্য। তারপর একটা সিনেমা করলাম। এখন আর বাবা কিছু বলেন না। আমি বুঝতে পারি, বাবা এনজয় করেন। এটা আনন্দ দেয়। কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
অভিনেতাই কি হতে চেয়েছিলেন?
অভিনেতা হব কখনো ভাবিনি। আমি পড়ালেখা করেছি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। ইচ্ছা ছিল সেটি নিয়েই কিছু করব। কিন্তু হয়ে গেলাম অভিনেতা।
কাজের ক্ষেত্রে কোন নীতি মেনে চলেন?
আমি আসলে খুব কাজ করি না। অল্প কাজেই সন্তুষ্ট থাকি। কাজের জন্য কোনো তদবিরও করি না। ভালো গল্পের পছন্দসই চরিত্রের প্রস্তাব পেলে অভিনয় করি, না হলে করি না।