আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে এবং জানাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি সীমান্তকন্যা শেরপুরে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন মধুটিলা ইকোপার্কে। নালিতাবাড়ীতে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন উপজেলা থেকেও। এবারের অনুষ্ঠানে শেরপুরের পালাগানের শিল্পী তারা বয়াতি এবং পান্থ কানাই একটি ভিন্নরকম লোকসংগীত পরিবেশন করেছেন। এ ছাড়াও শেরপুরকে নিয়ে পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন শেরপুরেরই স্থানীয় শতাধিক বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন কমল কান্তি পাল, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজীব ও তানজিনা রুমা। দুটো গানেরই সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত আয়োজন করেছেন মেহেদী। রয়েছে শেরপুরের ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন ভবন, চায়না টাওয়ার এবং বিশ্বের মহাবিস্ময় চীনের মহাপ্রাচীরের ওপর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন। এ ছাড়াও শেরপুরের মঞ্চে সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক অসংগতি ও সমাজ সংস্কারের ওপর সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশকিছু সরস অথচ তীক্ষè নাট্যাংশ। এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন। ইত্যাদির এ পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আজ শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।