বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ‘মহানায়ক’ খ্যাত প্রয়াত অভিনেতা বুলবুল আহমেদের কন্যা ঐন্দ্রিলা এবার বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। বাবার চলচ্চিত্রজীবন উঠে আসবে এতে, পাশাপাশি থাকবে পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবন। এ প্রসঙ্গে তা বিস্তারিত কথা তুলে ধরা হলো-
বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন, কতটা এগোলেন?
আসলে বাবার মতো একজন বিশাল মাপের অভিনেতার জীবনী সেলুলয়েডের ফিতায় তুলে আনা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। এর জন্য প্রচুর গবেষণা ও হোমওয়ার্ক দরকার। সেটিই এখন করছি। বলতে পারেন বেশ কিছুটা সময় তো লাগবেই।
এ নির্মাণ চিন্তাটা কীভাবে ভাবলেন?
বাবা হলেন এ দেশের চলচ্চিত্রের একজন কিংবদন্তি ও সত্যিকারের মহানায়ক। এর আগে আমি তাঁকে নিয়ে ডকুমেন্টারি ও বায়োপিক নির্মাণ করেছি। বইও লেখা হয়েছে। এবার ভাবলাম বাবা যেহেতু চলচ্চিত্রের মানুষ তাই তাঁকে সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দি করে এদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রাখব। এ ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ আমার।
ছবির গল্প কে লিখছেন?
হ্যাঁ, গল্পের শুরুটা আমিই লিখছি। প্রয়োজনে বিখ্যাত কাউকে দিয়ে ফাইনাল টাচটা দিয়ে নেব।
ছবির নাম ও বুলবুল আহমেদের ভূমিকায় অভিনয়শিল্পী ঠিক করা হয়েছে?
না এখনো এর কোনোটাই চূড়ান্ত হয়নি। আগে পান্ডুলিপি চূড়ান্ত করি, তারপর এসব নিয়ে ভাবব। আশা করেছি আগামী বছরই এ ছবির নির্মাণ কাজ শুরু করব।
ছবিতে বুলবুল আহমেদের জীবনের কোন অংশটি উঠে আসবে?
যেহেতু বাবার অভিনয় আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করত তাই উনার চলচ্চিত্রজীবনটাই মুখ্য হিসেবে ওঠে আসবে এতে। পাশাপাশি অবশ্য ব্যক্তি ও পারিবারিকজীবনও থাকবে।
এ কাজটি আপনার কাছে কতটা চ্যালেঞ্জের?
আসলে আমার কাছে এটি খুব চ্যালেঞ্জের নয়; কারণ আমি মনে করি মেধা দিয়ে সাহস করে এগুলে কোনোকিছুই অসম্ভব নয়। এখন শুধু তাঁকে পারফেক্টলি পর্দায় উপস্থাপন করা ও ফান্ডিংয়ের বিষয়টি নিয়ে এগোচ্ছি।
আপনার বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কিছু বলুন।
আমি এখন করপোরেট জব করছি, সংসার সামলাচ্ছি, ছোট পর্দায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। এইতো এভাবে নানা ব্যস্ততায় বেশ ভালোভাবেই সময়টা কেটে যাচ্ছে।