মডেল-অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। প্রথম চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’-তে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এরপর দীপঙ্কর দীপনের ‘অন্তর্জাল’ মুক্তি পায়। সম্প্রতি বিরতি ভেঙে নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। হাতে রয়েছে বেশ কিছু কাজ। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
অনেকদিন পর নাটকের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দেখা গেল...
হুমম... অনেক দিন ক্যামেরার বাইরে, ভালো লাগছিল না। ভাবলাম একটা নাটক করি, এতে করে অভিনয়ের চর্চা হবে আর নতুন অভিজ্ঞতাও হবে। সহশিল্পী ছিল বন্ধু ইরফান সাজ্জাদ।
তখনকার শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শুটিং সেটে পৌঁছানোর পর বড় করে একটা নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম। পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই মন ভালো হয়ে গিয়েছিল, অন্যরকম একটা শান্তি পাচ্ছিলাম। যদিও অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো দৃশ্য করা, তাড়াহুড়ার মধ্যে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি।
এরপর তো আরশের সঙ্গে পরপর দুটি নাটক করেছেন...
আরশের সঙ্গে প্রথম জুটি হয়ে দুটি কাজ করলাম। রোমান্টিক চরিত্রের মধ্যেই থেকেছি দুজন। দুটোই মাবরুর রশীদ বান্নাহ ভাইয়ের ডিরেকশনে। একটির নাম ‘তুমি আমি আমি তুমি’, অন্যটি ‘ছুঁয়ে দেখা স্পন্দন’। ‘ছুঁয়ে দেখা স্পন্দন’ এ আমি রেহনুমা ও আরশ জাহিদের চরিত্রে। সামনেই আসবে নাটকগুলো।
বান্নাহ ও আরশকে কেমন মনে হয়েছে?
বান্নাহ ভাই জোস একজন নির্মাতা। আর আমার সঙ্গে আরশের পরিচয় ছিল না। আগে থেকে সেভাবে তাকে চিনতাম না। শুটিংয়েই পরিচয়। শুটিং করে মনে হয়েছে ছেলেটির চরিত্রে ডুবে থাকা নেশার মতো। ওর মধ্যে অভিনয়ের ভালো চেষ্টা রয়েছে। ভালো গল্প ও পরিচালক পেলে সে ক্যারিয়ারে আরও ভালো করবে, আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। অনেক সহযোগী একজন কো-আর্টিস্ট সে।
তাহলে এখন থেকে নাটকে নিয়মিত দেখা যাবে?
আমি তো সিনেমার মানুষ, সিনেমা করতেই ভালোবাসি। নাচে-গানে ভরপুর সিনেমা। নাটক তেমন করি না। কয়েক মাস ধরে অভিনয় ছাড়া থাকতে ভালো লাগছিল না। তাই নাটকে নাম লেখালাম। ভালো গল্প, পরিচালক পেলে নাটকে অভিনয় করব। তবে করব অভিনয়ের চর্চার জন্যই।
সম্প্রতি একটি ফটোশুটে অন্য এক সুনেরাহকে দেখা গেল। কাজটি নিয়ে বলা যাবে?
অবশ্যই। এটি ফ্যাশন ও মিডিয়া হাউস ‘গ্লামআর্ট’-এর জন্য একটি কাজ। পাবলিসার ও এডিটর মুহাম্মদ উজ্জ্বল মিয়া। যিনি ফিহা মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার। ফটোশুটের কনসেপ্টটি দারুণ ছিল। সবাই পছন্দ করেছেন। আমার কাছেও ভিন্নরকম লেগেছে। স্টাইলিং ও ফ্যাশন ডিরেকশনে ছিলেন ফয়সাল তুষার আর ফটোগ্রাফার ছিলেন সাকিব মুহতাসিম। আর আউটফিট ও এক্সেসরিজে ‘যাদুর বাক্স’। ফটোশুটের সঙ্গে একটি ভিডিও শুটও করা হয়েছে। ভালো ছিল সবমিলিয়ে।
সিনেমা বা অন্য কোনো নতুন কাজের খবর...
কিছু কাজের কথাবার্তা চলছে। কাজ হলে তো সবাই জানতে পারবেন। কাজ চূড়ান্ত না হলে বলা ঠিক হবে না। অপেক্ষা করতে হবে।
ছোটবেলা থেকেই তো নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে ছিল...
সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে থেকেই ছোটবেলায় নাচ শিখতাম।