‘ঘরে বসে সময় কাটে। খুব সকালে ঘুম ভাঙে। সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে সকাল শুরু করি। প্রতিদিন সকালে দুই ঘণ্টা গাছের পরিচর্যা করি। কখনো বেশি সময়ও করি। গাছে পানি দেওয়া, গাছের সবকিছু পরিষ্কার করা, যতরকম যত্ন আছে গাছের সব করি’-বললেন ষাট থেকে আশি দশকের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচন্দা। তিনি বলেন, ফুলের গাছ আছে। কিছু ফলের গাছও আছে। কয়েকটি বারান্দায় গাছগুলো আছে। গাছগুলোর জন্য অনেক মায়া কাজ করে এখন। সুচন্দা বলেন, এরপর শুরু হয় আমার ঘরের কাজ। ঘরের মধ্যে কতরকম কাজ থাকে, সেগুলো করি। আমি তো একা মানুষ। সব কাজ একা করতে হয়। তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কাজ থাকলে বাইরে যাই। তাও খুব কম। কখনো কখনো ডাক্তারের কাছে যাই। পারিবারিক কোনো নিমন্ত্রণ থাকলে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি। সুচন্দা বলেন, এখন আর ডায়েরি লিখি না। তবে নোট করে রাখি। এটা আমার সারা জীবনের অভ্যাস। আমি নোট করি সারাদিন ও পরের দিন কী কী কাজ করব। এ নোট করার অভ্যাস অনেক দিনের। তিনি আরও বলেন, আমার খুব আনন্দের কাজ হচ্ছে নাতি-নাতনিদের সময় দেওয়া, ওদের সঙ্গে দেখা করা, গল্প করা। ওরা কী চায়, যা বাবা-মাকে বলতে পারে না, আমাকে নির্দ্বিধায় বলতে পারে। সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করি। ইউটিউবে কখনো কখনো গান দেখি। একটি-দুটি দৃশ্য দেখি। পুরো সিনেমা দেখার সময় পাই না। আর টেলিভিশন দেখা হয় না বহু বছর। কিন্তু ছেলে কিংবা মেয়ের বাসায় গেলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে প্রকৃতি দেখি। তাও ৩০ মিনিট বড়জোর।