৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:৪৫

‘মশারিই ওকে হুলু পর্যন্ত নিয়ে গেছে’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

‘মশারিই ওকে হুলু পর্যন্ত নিয়ে গেছে’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

বিমান বন্দরে বসে ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে দুই দিনের আগের নিউজ নিয়ে দেরিতে ভাবনা। নুহাশের হুলু’র জন্য প্রজেক্ট করা একটা এক্সাইটিং নিউজ, কিন্তু সারপ্রাইজিং না। আপনারা যদি ওর সাম্প্রতিক কাজ খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, ও বাংলাদেশের ফিল্মমেকারদের মধ্যে সম্ভবত প্রথম যে অতিপ্রাকৃত জনরার গল্প ঠিকঠাক সেন্সিবিলিটি নিয়ে ডিল করছে। এর আগে, আমার মনে হয় না এই জনরাতে বলবার মতো কোনো কাজ হইছে। আমি মশারি দেখি নাই এখনো। কিন্তু আমার কাছের এবং দূরের মানুষদের কাছ থেকে যা শুনেছি তাতে সেখানেও সে কার্যকর টেনশন আর ফিয়ার উৎপাদন করে গল্পটা বলছে। অতিপ্রাকৃত গল্পের ক্ষেত্রে এই জিনিসগুলো প্রপারলি মেনটেন করা খুবই ইমপরট্যান্ট। মশারিই ওকে হুলু পর্যন্ত নিয়ে গেছে বলা যেতে পারে। শর্ট ফিল্মটা সাউথ বাই সাউথ ওয়েস্টে পুরস্কার ছাড়াও ওকে আমেরিকান ট্যালেন্ট এজেন্সি পর্যন্ত নিয়ে গেছে। আমি বলতেছি না সবার কাজে আমেরিকান সেন্সিবিলিটি থাকতে হবে। আমি বরং উল্টোটাই বলবো। ফরাসি স্কুলসহ দুনিয়ার বহু স্কুল অব থটস আমেরিকান সেনসিবিলিটির বিপরীতে ছবি করছে, এবং এখনো করে যাচ্ছে। কিন্তু নুহাশের উদাহরণটা নতুন ফিল্মমেকারদের জন্য একটা দারুন ইঙ্গিত দিতে পারে। সেটা হলো ইউ অনলি নিড ওয়ান প্রোডাকশন টু টার্ন থিংস অ্যারাউন্ড। তুমি কোনো ঢংয়ে গল্প বলতে চাও, কোন জনরায় তোমার নিজের শক্তি খুঁজে পাও, কোন সময়কে আঁকতে চাও, এগুলো নিশ্চয়ই একান্তই তোমার। কিন্তু যে কাজটাই করো, সেটা এমনভাবে করো যেনো এটাই তোমার শেষ সুযোগ জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য। এমনকি সেটা যদি একটা দুই মিনিটের শর্ট ফিল্মও হয়।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর