৭ জুলাই, ২০২২ ১৪:৫৩

নতুন ভাবে সেজেছে আলুটিলা

মো. জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি

নতুন ভাবে সেজেছে আলুটিলা

বদলে গেছে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা। ঈদকে সামনে রেখে আরো নতুনভাবে সাজানো হয়েছে এ পর্যটন কেন্দ্রটিকে। এছাড়াও গত দুই বছর ধরে এ পর্যটন কেন্দ্রকে সাজাতে নানা ধরণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রটি  নান্দনিক রূপ পেয়েছে। জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে দুই পাহাড়ের মাঝখানে  নির্মাণ করা হয়েছে হচ্ছে ঝুলন্ত ব্রিজ, নন্দনকানন পার্ক, কুঞ্জছায়া ভিউ পয়েন্ট ও স্বর্ণতোরণ। এছাড়া আম্ফি থিয়েটার ও খুমপুইরেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এসব নান্দনিক স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় পর্যটকদের বাড়তি আর্কষণে পরিনত হয়েছে। এতে জেলার পর্যটন অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টারা। 

সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ৬শ ফুট উপরে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র। ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি জেলা সৃষ্টির পর থেকেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন জেলার প্রধান পর্যটন আর্কষণ অবহেলিত থাকলেও তা এবার বদলেছে সেই রূপ। এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর আলুটিলা। এখান থেকে পাখির চোখে পুরো খাগড়াছড়ি শহর দেখা যায়। নান্দনিক আলুটিলা দেখতে প্রতিদিন ভিড় বেড়েছে। নতুন নান্দনিক স্থাপনা হওয়ায় খুশি পর্যটকরা। 

খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা জানান, এবারের ঈদে আলুটিলাসহ এখানকার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। তাই আশা করছি এবারে প্রচুর পর্যটক নামবে এ পাহাড়ে। 
 
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি ট্যুরিজম গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে এখনও তা চালু হয়নি। খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি ট্যুরিজম গড়ে তোলার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনিও এবার ঈদে প্রচুর পর্যটক সমাগম ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এতে করে দেশের পর্যটন অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে। তাই সম্ভাবনাময় এ খাতকে কাজে লাগাতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, খাগড়াছড়িতে শিল্পকারখানা গড়ে না উঠায় পর্যটনই অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত।  তাই পর্যটন অর্থনীতর বিকাশের স্ব অর্থে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন করা হয়েছে। পর্যটন বান্ধব স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় জেলার পর্যটন অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন জেলা প্রশাসক। 

জেলার রিচাং ঝর্ণা, মায়াবীনী লেক, দেবতাপকুর, আলুটিলাসহ সকল পর্যটন স্পটগুলো ঈদে আগত পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে। হোটেল-মোটেলগুলোও আগাম বুকিং চলছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর