রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

সন্ধ্যায়ও ভোট হয়েছে যেখানে

সকাল থেকে সন্ধ্যা, তবুও যেন ভোটের লাইন শেষ হয় না। লাইনে দাঁড়িয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন রেহেনা আক্তার নামে এক তরুণী। তিনি বলেন, বেলা ২টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি, সন্ধ্যা ৬টায় ভোট দিতে পারলাম। গতকাল এমনটাই দেখা গেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয় (মহিলা) কেন্দ্রে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় এখানে ভোট গ্রহণ দেরি হয়। এ কেন্দ্রে ৬টি বুথের ৩টিতে নির্ধারিত সময়ের পরেও প্রায় ৩০০ ভোটার উপস্থিত ছিলেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭২৩ জন। এলাকাবাসী এবং ওই কেন্দ্রের কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ নাম্বার বুথে মহিলা ভোটারদের ভোট গ্রহণ বিকাল ৪টায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। দীর্ঘ লাইনে তারা ভোট দিচ্ছিলেন। ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল আনসার বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট জানালা দিয়ে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় বাইরে থেকে কয়েকজন লোক তার প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে ওই এজেন্টকে ভোট কক্ষ থেকে বের করে নেওয়া হয়। ওই কক্ষে কর্তব্যরত কাউন্সিলর প্রার্থী ওসমান আলীর এজেন্ট শাহীনুর আক্তার শাহিন জানান, ২৯ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী খায়রুল আলমের (ঘুড়ি প্রতীক) এজেন্ট আজগর আলী ফকিরকে অন্য কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার (পদ্মফুল) সমর্থকরা কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন। একসময় তিনি কেন্দ্রের সামনের পুকুরে পড়ে যান। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের আশপাশে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে ওই কক্ষে উপস্থিত ভোটারদের ভোট গ্রহণ করা হয়। পাশের ২টি বুথে মহিলা ভোটারদের ভোট গ্রহণ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।

সর্বশেষ খবর