রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ুম

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

আজ ৪ রমজান। রমজানের প্রথম দশক খাস করা হয়েছে রহমত হিসেবে। আমরা এখন রহমত অংশের মাঝখান অতিক্রম করছি। রহমত আল্লাহ জাল্লা শানুহুর রহমান এবং রহিম নাম মুবারক ধারণ করে আছে। তিনি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন রহমাতুলি্লল আলামীন অর্থাৎ জগতসমূহের জন্য রহমত করে এবং তার উম্মতদের জন্য সিয়াম বিধান দিয়েছেন রহমতের পরশ লাভ করে সার্থক জীবন গড়ার জন্য।

কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে : বল, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে তা কার? বল, আল্লাহরই। রহমত দান করাকে তিনি নিজের কর্তব্য স্থির করে নিয়েছেন। (সূরা আন'আম : আয়াত ১২)। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম কোরআন মাজিদে ১১৪ বার উলি্লখিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রহমান রহিম আল্লাহর নামে শুরু করছি। রহমান রহিম অর্থ পরম করুণাময় দয়ালু দাতা। সূরা ফাতিহাতেও আমরা এর ব্যবহার দেখতে পাই। সূরা ত্বহা-এর ৫ নম্বর আয়াতে কারিমায় ইরশাদ হয়েছে : আর রহমানু আলা আরশিস তাওয়া- রহমান আরশে সমাসীন। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এমনকি বান্দার শিরারগের চেয়েও অতি নিকটবর্তী। তিনি ছয় দিনে আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করে আরশে অধিষ্ঠিত হন। রহমান আরশে সমাসীন দ্বারা আল্লাহর দয়াগুণের মাহাত্দ্য ও বিরাটত্ব ফুটে উঠেছে। তিনি বান্দার প্রতি দয়াশীল। আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন : হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ তারা নিরাশ হইও না আল্লাহর রহমত থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমুদয় গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সূরা যুমার : আয়াত ৫৩)। ইলমে তাসাওউফে রহমতের ফয়েজ রয়েছে। তা যোগ্য পীরের অধীনে রপ্ত করতে পারলে আল্লাহর পাঁচ মুবারক নাম ইয়া আল্লাহু, ইয়া রহমানু, ইয়া রহিমু, ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়ুম-এর নূরে উদ্ভাসিত হওয়া যায়। রহমত অজস ধারায় বর্ষণ হতে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর