রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

আশাবাদী ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত

আশাবাদী ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত

সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার পর বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকার ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিশেল ট্রিনকুইয়ার। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন এ আশা প্রকাশ করেন। ১৪ জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত গতকাল এ বিবৃতি দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের মূল্যবোধগুলো স্মরণ করতে পেরে আমি খুশি। আমি বাংলাদেশিদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ়তাকে সবসময়ই শ্রদ্ধা করি। বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি মাহেন্দ্রক্ষণ অতিক্রম করছে। আশা করছি সংলাপের মাধ্যমে আগামীতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে। রানা প্লাজা ভবন ধসের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, গার্মেন্ট খাতে বিদেশি দেশগুলোর সহায়তা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কার্যকর সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে আমি আশা করি। জিএসপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জিএসপি একটি প্রণোদনা। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মসূচি ও প্রয়োজনীয় রোডম্যাপে অনুসরণ সম্ভব। সরকারের নেওয়া কর্মসূচির পর আমাদের অভিমত হলো জিএসপি স্থগিত বা বাতিল করা উচিত নয়। ফ্রান্স ও বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ দিন দিন উন্নয়নের পথে আছে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উভয় দেশ একই মতাদর্শে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশেষত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যকমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিশেষ প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের ট্রুপস পাশাপাশি অবস্থান করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে ফ্রান্স ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মাধ্যমে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি গত বছরের শুরুতে ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম প্রজেক্টের উন্নয়নে সহযোগী হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামীতে শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পরিষ্কার পানি সরবরাহ ও জ্বালানি খাতে ফ্রান্স সরকার সহায়তা করবে বলে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি রপ্তানিমুখী দেশের জন্য বাণিজ্য সাহায্য-সহযোগিতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বছরে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরোর বাণিজ্য নিয়ে ফ্রান্স বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম বাজার। তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ফ্রেঞ্চ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করে এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি উদাহরণ লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি।

 

সর্বশেষ খবর