বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

মোবারক হো মাহে রমজান

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

মোবারক হো মাহে রমজান

আজ ১৪ রমজান। রমজানের সিয়াম বিধান দিয়ে তাতে ইরশাদ হয়েছে : কেউ যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করে তবে তা তার জন্য অধিক কল্যাণকর। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারতে তাহলে বুঝতে সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৪)।

রমজানের সিয়াম ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। বিশেষ বিশেষ অবস্থায় কেউ যদি সিয়াম যথাসময়ে পালন করতে না পারে সে জন্য কাজা, কাফ্ফারা, ফিদিয়া আদায় করার বিধানও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাহে রমজানে সিয়াম পালনে যে আনন্দ, যে আত্দিক পরিতৃপ্তি, যে পরিচ্ছন্নতার আমেজ অনুভব, যে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের প্রাচুর্যপরশ লাভ করা যায় তা অন্য সময় লাভ করা যায় না। কাজা, কাফ্ফারা, ফিদিয়া দিলে ফরজ আদায় হয় বটে কিন্তু রমজানে যে প্রভূত কল্যাণ রয়েছে তা অর্জিত হয় না। কারণ রমজানে যে বরকত বা প্রাচুর্য রয়েছে তা তো আর অন্য কোনো মাসে পাওয়া যাবে না। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেরা নিজেদের ওপর অবিচার করেছ তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবে না। আল্লাহ নিশ্চয়ই সমুদয় গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল। পরম দয়ালু (সূরা জুমার : আয়াত ৫৩)।

কোরআন মাজিদে বার বার তওবা-ইসতিগফার করার তাকিদ রয়েছে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : যারা তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে এবং সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে ওরাই তারা যাদের প্রতি আমি ক্ষমাশীল হই। আর আমিই তো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (সূরা বাকারা : আয়াত ১৬০)। ইলমে তাসাউফের দায়রায়ে হাকিকতে সাওম কোনো কামিল ও যোগ্য পীরের তত্ত্বাবধানে রপ্ত করতে পারলে সিয়ামের নূরের পরশে আলোকিত হওয়া যায়। এ ছাড়া তওবার ফয়েজ রপ্ত করার মাধ্যমে মাগফিরাত লাভ করা যায়।

 

 

সর্বশেষ খবর