বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

বিমানের ফ্লাইট থেকে মিলল তিন মণ সোনা

বিমানের ফ্লাইট থেকে মিলল তিন মণ সোনা

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৭০১) তিন মণের বেশি (১২৪ কেজি ২২১ গ্রাম) সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের ভেতর থেকে সোনার ১০৬৫টি বার (বিস্কুটের আদলে) উদ্ধার করা হয়েছে। সোনাগুলো বিমানের কার্গো হোল্ডের ভেতরে ১৫টি কাপড়ের ব্যাগে লুকানো ছিল। প্রতিটি সোনার বারের ওজন ১০ তোলা। আজ সোনাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। সোনা উদ্ধারের এই চালানটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ। কাস্টমসের এডিশনাল কমিশনার লুৎফর রহমান জানান, গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট নেপাল থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাত্রীরা বিমান থেকে নেমে যাওয়ার পর কাস্টমস কর্মকর্তারা নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানের কার্গো হোল্ডের ভেতরে লুকানো অবস্থায় সোনার বারগুলো উদ্ধার করে। সোনাগুলো কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল। সোনা উদ্ধারের পরপর বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তা গণনা করা হয়। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ২-৩ দিন আগে কাস্টমস কর্মকর্তারা গোপন খবরের ভিত্তিতে সোনার চালান আসার খবর জেনে সর্বক্ষণ তৎপরতা চালান। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সোনাগুলো রাখা আছে এমন খবরের ভিত্তিতে সকাল থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা তৎপরতা শুরু করেন। দুপুর দেড়টার দিকে তারা অভিযান চালিয়ে সোনা উদ্ধার করেন। এর আগে কাস্টমস কর্মকর্তারা আরও একাধিকবার সোনার চালান উদ্ধার করেছেন। গত সপ্তাহে তারা ২৫ কেজি ও ১৬ কেজি সোনা ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করেন। শুল্ক কর্মকর্তাদের সন্দেহ, বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালানি একটি চক্র আছে। এ চক্র পরিকল্পিতভাবে একসঙ্গে এত কেজি সোনা চোরাই পথে এসেছে। যা ঢাকা বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় চালান বলে তারা মনে করেন। এ চক্রের সঙ্গে বিমানের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই চক্র বিমানের ভেতরে মালামাল রাখার স্থানে সোনা লুকিয়ে রেখে পরে কৌশলে সেসব সোনা বা অন্যান্য পণ্য ময়লা-আবর্জনার ভেতরে করে বাইরে পাচার করে। সোনার চালানের সঙ্গে দেশি ও আন্তর্জাতিক চোরাচালানি চক্র জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র এএসপি আলমগীর হোসেন বলেন, বিমানের ভেতরে লাগেজ রাখার সুরক্ষিত স্থানে ১৫টি ব্যাগে সোনার বারগুলো রাখা ছিল। প্রতিটি ব্যাগ সেলাই করা ছিল। কালো ও চকোলেট রঙের কাপড় নিয়ে সোনাগুলো মোড়ানো ছিল। ব্যাগগুলোর গায়ে প্রাপক বা প্রেরকের নাম-ঠিকানা কিছুই নেই। তিনি আরও জানান, সোনা চোরাচালানির সঙ্গে বিমানবন্দর ভিত্তিক গড়ে ওঠা চোরাচালানি ও রাঘববোয়ালরা জড়িত থাকতে পারে। কাস্টমস কমিশনার জাকিয়া সুলতানা জানান, আজ উদ্ধারকৃত সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। এর আগে তারা ৬-৭টি সোনার চালান উদ্ধার করেছে।

 

 

সর্বশেষ খবর