বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
দুদকের তথ্য

সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখার ১৭ হাজার কোটি টাকা লোপাট

সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুর্নীতির এসব তথ্য কমিশনের তদন্ত সেল থেকে জানানো হয়। বলা হয়, মেসার্স ফেয়ার উইভিং মিলস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আত্দসাৎ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুদক তদন্ত দলের সদস্যরা।
আর এই তদন্তের সময় ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন- ব্যাংটির সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এ জে এম মতিউর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, এস এম আওলাদ হোসেন, মো. আবদুল হালিম, মো. আজিজুল হক, মো. ওয়াহিদ উদ্দিন, মো. শাজাহান হাওলাদার, মো. জহিরুল ইসলাম, ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, এজিএম এ বি এম গোলাম সাদেক, এজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম, এজিএম মিসেস অর্চনা শাহ।
দুদক সূত্র জানায়, হলমার্ক কেলঙ্কারির পূর্বেই এই ঋণ কেলেঙ্কারি সংগঠিত হয়। গত বিএনপি জোট সরকারের তিন বছর সময়ের (২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল) মধ্যে ভুয়া রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট বৈদেশিক বাণিজ্য বিনিময় শাখা থেকে এলসি খুলে এই অর্থ আত্দসাৎ করা হয়। ফান্ডেড এবং নন-ফান্ডেড হিসেবের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকাই লুটপাট হয়েছে। এ জালিয়াতিতে বিগত জোট সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দুদকের কাছে দেওয়া ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদারের লিখিত বক্তব্যে এ বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
দুদক সূত্র আরও জানায়, চারটি খাতে ভুয়া এলসির মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি করে ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুর রহমান, ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, জিএম, এজিএম, এসপিও, পিওসহ ব্যাংকের প্রায় ২০ কর্মকর্তার যোগসাজশে তৎকালীন সরকার দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশই ভুয়া বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে এলসি খুলে মাল না আসা সত্ত্বেও আরও এলসি খোলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর