রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
স্থায়ী প্রতিনিধি

জাতিসংঘ বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানায়নি

জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানালেন রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন। এনা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব আইনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- এ প্রত্যাশা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের। কারণ, বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন পর্যায়ে ছয় সহস াধিক নির্বাচন হয়েছে। একটি নির্বাচনেও কারচুপির কোনো অভিযোগ ওঠেনি। নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অবসানে সরকার ও বিরোধী দলের নেতাদের নিউইয়র্কে ডেকে আনার কোনো উদ্যোগ কখনই নেয়নি জাতিসংঘ। এমনকি এ ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিব কোনো প্রস্তাবও দেননি তার কাছে- এ কথাও বলেন ড. মোমেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতাকে মহাসচিব ফোন করায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কি না- জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন বলেন, কখনই নয়। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন-অগ্রগতিতে মুগ্ধ। বিভিন্নভাবে তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর দুই নেত্রীকে ফোন করেছেন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরের আলোকে এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মামুন-অর রশীদ। রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন জানান, ১৩০ জন প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রী আসছেন এবারের সাধারণ অধিবেশনে। বিগত দিনে এমডিজির বেশ কটি বিষয়ে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক মহলে উপস্থাপনের বিরাট একটি সুযোগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া, সন্ত্রাস দমন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু শিক্ষা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অর্জন এখন সব মহলে স্বীকৃত। সারা বিশ্ব যখন মন্দার কশাঘাতে ক্ষতবিক্ষত, সে সময়ে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রেখেছে। শুধু তাই নয়, মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। এগুলো বানানো কোনো তথ্য নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে তা উদঘাটিত হয়েছে। সাফল্যের এসব ইতিহাস বিশ্বসমাজে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হবে, এটি চূড়ান্ত। এ ছাড়া বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামার সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হবে। সাধারণ অধিবেশনে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালের দিকে। এর পরই তিনি সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হবেন। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রবাসীদের প্রদত্ত নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। ড. মোমেন বলেন, ৪৬ ব্যবসায়ী/শিল্পপতিসহ ১২৯ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে আমিরাত এয়ারলাইনসে নিউইয়র্কে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে আসবেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে। তিনি জাতিসংঘের চলতি ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালে বেশ কটি দেশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার ডিনার পার্টিতেও অংশ নেবেন তিনি।

সর্বশেষ খবর