রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শোভন আচরণে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়

মোজেনা

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শোভন আচরণে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়

'নম্রতা, শোভন আচরণ, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্রিউ মোজেনা। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী ও নেলসন ম্যান্ডেলাসহ বিশ্বেও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বিভিন্ন সময় যেসব বাণী দিয়েছেন, তার মূলমন্ত্র ছিল অহিংসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শোভন আচরণের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা।গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে 'জ্ঞান-সোহাগী ১০ম আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বক্তৃতা-২০১৩' প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে জ্ঞান-সোহাগী মেমোরিয়েল ট্রাস্ট ফান্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কর্তব্যরত পুলিশকে হরতালের নামে পিকেটাররা ইট দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। অন্যদিকে রামু ও উখিয়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। এসব আমাকে খুবই দুঃখ দেয়।

আমেরিকা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্র্রত্যেকের মাঝে রয়েছে শক্তি ও সম্ভাবনা। যাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতা রয়েছে সেখানেই শান্তি বিরাজ করে। তরুণ প্রজন্ম নতুন বাংলাদেশ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিই হচ্ছে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের ওপর ভিত্তি করে।' বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জ্ঞান-সোহাগী স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। বিশ্ব দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বাণী পড়ে শোনান কাজী আলী রেজা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান। বক্তৃতা শেষে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণ থেকে একটি শান্তি র্যালি বের করা হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর