রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

খালেদা অন্যায় করেছেন আমন্ত্রণ গ্রহণ করা উচিত ছিল : রফিক-উল হক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্যায় করেছেন বলে মনে করেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি গতকাল বলেছেন, 'খালেদা অন্যায় করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পর তার সঙ্গে সঙ্গে যাওয়া উচিত ছিল। দুটো জিনিস তো একসঙ্গে পাওয়া যায় না। প্রেমও করব আবার ঝগড়াও করব, দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে না।'

দুই নেত্রীর টেলিফোন সংলাপ, বিরোধী নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে আমন্ত্রণ ও হরতালের কারণে এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে হরতালের পরে আবার আমন্ত্রণ জানাতে বিএনপির দাবির পর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাভাবিক সৌজন্য বজায় রাখা উচিত ছিল। এত দিনের শঙ্কা ও জনদাবির পর এই টেলিফোনে কথা হলো। রাষ্ট্রের শীর্ষ একটি পর্যায় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু তিনি যাবেন না বললেন। যেদিন দাওয়াত দিলেন সেদিন যাবেন না, অন্যদিন দাওয়াতের দাবি জানালেন- এটা কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের আচরণ হলো? ব্যারিস্টার রফিক বলেন, বিএনপির হরতাল প্রত্যাহার করা উচিত ছিল। আসলে বিএনপি এসবই জামায়াতের পাল্লায় পড়ে করেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট শুধু থেকেই গেল না, দীর্ঘায়িত হলো। বরং শেখ হাসিনার ইমেজ জনগণের কাছে বেড়ে গেল। কারণ শেখ হাসিনা একবার সর্বদলীয় সরকারের কথা উপস্থাপন করেছেন, এবার নিজে ফোন করলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া কী করলেন, আগেরটিও প্রত্যাখ্যান করলেন, এবারের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করলেন। তিনি বলেন, আলোচনার প্রস্তুতি নিতে সময়ের প্রয়োজন। তারপরও বেগম খালেদা জিয়া একদিন সময় দিয়ে তিন দিনের হরতাল দিয়েছিলেন। ব্যাপারটা খাবার দিয়ে খাওয়া শেষ হওয়ার আগে প্লেট কেড়ে নেওয়ার মতো। হরতাল দিলেন, বাসে আগুন দিলেন, গাড়ি পোড়ানো হলো। আলোচনা শুরু করার জন্যই তো হরতাল ছিল। এখন আবার সেই হরতালের অজুহাতে আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন না। এটা হতে পারে না।

সর্বশেষ খবর