রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

দেশজুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ

শিবির কর্মী নিহত, আহত তিন শতাধিক

দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮-দলীয় জোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও শিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় রাজশাহীতে রাশেদুল ইসলাম নামে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছেন। রাশেদুলকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে শিবির। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে তিন শতাধিক ব্যক্তি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক। নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাজশাহী : র্যাব ও পুুলিশের সঙ্গে শিবিরের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রাশেদুল ইসলাম নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক। নগরীর মতিহার থানার ডাঁশমারী এলাকার আমিনুল ইসলাম টুকুর ছেলে ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। সংঘর্ষের ঘটনায় মতিহার থানার ওসি এস এম আবদুস সোবহান, ২৮ নম্ব ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, মতিহার থানা্ ছাত্রদল সভাপতি রেজাউলসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ১৮ দলের নেতারা। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরতালের সমর্থনে গতকাল বিকেলে নগরীর কাজলায় রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সমাবেশ চলছিল। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নগরীর বিনোদপুরের আমজাদের মোড় থেকে মিছিল নিয়ে এসে ওই সমাবেশে যোগ দেয় শিবির। এ সময় কাজলা গেটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে শিবির ক্যাডাররা। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরে অংশ নেয় বিএনপি ও ছাত্রদল ক্যাডাররা। একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পেঁৗছে অ্যাকশনে যায়। সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। সংঘর্ষের সময় ছাত্রশিবিরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার অর্থ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, মতিহার থানার ওসি এস এম আবদুস সোবহান, সিটি করপোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, মতিহার থানা্ ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল ও সহসভাপতি চঞ্চলসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শিবির নেতা রাশেদুল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির পুলিশের গুলিতে রাশেদুল মারা গেছেন বলে দাবি করেছে।

সিলেট : পুলিশের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের মধ্যকার সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ সময় অন্তত ছয়টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। নগরীর মিরাবাজার থেকে মিছিল বের হয়ে কোর্ট পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পুলিশ এগিয়ে এলে নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষে ছাত্রদলের কেন্দ ীয় নেতা আবদুল আহাদ খান জামালসহ পাঁচজন আহত হন। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা একটি বাস, চারটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

খুলনা : ৬০ ঘণ্টার হরতালের পক্ষে বিকেলে মহানগরীর দৌলতপুরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মিছিল করায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ মিছিল ও সমাবেশ পণ্ড করতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে ও তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ১২ বিএনপি কর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম ও আরও দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বগুড়া : ধুনটে ১৮-দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনার একপর্যায়ে ভায়চুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে পাটবোঝাই গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। বিকেলে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতকার আলম সেলিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ধুনট এনইউ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পেঁৗছলে কে বা কারা পাটবোঝাই একটি ভটভটিতে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিমিছিল নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। পরে তাদের কয়েকজন বিএনপি নেতা আকতার আলম সেলিমের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় বাসার সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পাবনা : বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারে ১৮-দলীয় জোটের মিছিলে আওয়ামী লীগ বাধা দিলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়, কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। এর পরপরই বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপি-সমর্থিত জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যানের একটি মার্কেট ও স'মিলে আগুন দেয়। এতে ৮-১০টি দোকান পুড়ে যায়। গাইবান্ধা : গোবিন্দগঞ্জের বাসুদেবপুর বাজারে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও তিনটিতে আগুন দিয়েছে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। এ সময় হামলায় উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল ওয়ারেছসহ পাঁচজন আহত হন। নাটোর : পুলিশের সঙ্গে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট, গুলিবর্ষণ, টিয়ার শেল, গ্যাস গান নিক্ষেপে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঘটনার সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের নাটোর জেলা সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুজ্জামানের শরীরে সাতটি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। এ সময় শহরের বড় হরিশপুর বাইপাস এলাকায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে করা হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ দলের ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। নেত্রকোনা : পৌর শহরের কুরপাড় এলাকায় ড্যাব নেতা ডা. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে সন্ধ্যায় কুরপাড় জয়নগর এলাকায় বিএনপি একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় মিছিলকারীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা সাত-আটটি অটোরিকশা ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে। অন্যদিকে হরতাল বিরোধীরা কেন্দ ীয় মহিলা দলের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক ড. আরিফা জেসমিনের ছোটবাজারের চেম্বার ও মোক্তারপাড়া এলাকার বাসার গেট এবং লাইট ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর : চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তিনটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে হরতাল সমর্থকরা। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি ট্রাক ও একটি ট্যাঙ্কি্যাবে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা। অন্যদিকে শিববাড়ীসহ আশপাশ এলাকায় অন্তত ১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়।

টঙ্গী (গাজীপুর) : হরতালের সমর্থনে টঙ্গীতে ১৮-দলীয় জোট মিছিল করেছে। মিছিলকারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে ও স্থানীয় চেরাগ আলী মার্কেট এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তারা ৮-১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির পর কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ তাদের ছাত্রভঙ্গ করতে ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। সিরাজগঞ্জ : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে সিরাজগঞ্জে ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা বাবুর নেতৃত্বে গোসালা এলাকায় মিছিল বের করা হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়া রেলগেট এলাকায় পর পর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং টায়ারে আগুন দেয় বিএনপি। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। কুমিল্লা : মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বেলা ৩টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে অংশ নিতে আসা নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। মাগুরা : আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বোমাবাজি, ভাঙচুর ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। বেলা ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের ভায়না মোড়ে পেঁৗছালে বিএনপি সমর্থকরা বোমা নিক্ষেপ করে। বেলা দেড়টার দিকে শহরের সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বিএনপির একটি গ্রুপ চৌরঙ্গী মোড়ে এসে বোমাবাজি করে ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। বিএনপির ৬০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। লালমনিরহাট : হাতীবান্ধায় পাল্টাপাল্টা মিছিল করেছে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল। উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ। খবর পেয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও শহরের কলেজ গেটে অবস্থিত আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর চালায়।

রংপুরে পুলিশের সামনেই বিএনপির ভাঙচুর : রংপুরে পুলিশের সামনেই বেশ কয়েকটি গাড়ি, ভবনের গ্লাস এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের লাগানো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিলবোর্ড ভাঙচুর করা হয়েছে। বিএনপির মিছিল থেকে কর্মীরা এ ঘটনা ঘটালেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, কিছু বেআদব ছেলে মিছিল থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আজ থেকে শুরু হওয়া হরতালের সমর্থনে বেলা পৌনে ২টার সময় গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

ফরিদগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন ও বিকালে যুবদল নেতা আরিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন জেলা বিএনপি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র সফিকুর রহমান পাটওয়ারীসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হরতালে উপজেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। অন্যদিকে বিএনপির চার কর্মী নিহত হওয়া ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা, কালো ব্যাজ ধারণ ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি এ এস এম কামালউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট সলিমুল্লাহ সেলিম, জামায়াতের সেক্রেটারি বিল্লাল হোসেন মিয়াজীসহ ১৮-দলীয় জোটের নেতারা অংশ নেন।

ফরিদগঞ্জে ব্যাপক পুলিশ, বর্ডার গার্ডসহ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলার সর্বত্র থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ২-৩ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেছে। গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর