রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

সরকার বিভ্রান্ত করছে

সরকার বিভ্রান্ত করছে

সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায় বলে সরকার সংলাপের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'সরকারের এত দমন-পীড়নের মধ্যেও গতকাল (শুক্রবার) ঢাকাসহ সারা দেশে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছিল। সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, ইনক্লুসিভ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভয় পায়। একদিকে সরকার দমন-নির্যাতনে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে, চক্রান্ত করছে, অন্যদিকে সংলাপের কথা বলে বিভ্রান্ত করছে জনগণকে। প্রভাবিত প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একমত। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই চলমান আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটবে।'

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দলের যুগ্ম-মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকতউল্লা বুলু, রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সারা দেশে পুলিশ-র্যাব-বিজিবি ব্যবহার করে বিরোধী নেতা-কর্মী হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল জানান, শুক্রবারের ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাইফুল ইসলাম বাদশা, মিজানুর রহমান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আরিফ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, শরীফ, বাবলু, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শফিকুল ইসলাম, নীলফামারীর জলঢাকায় মোসলেম উদ্দিন পুলিশ-বিজিবিসহ ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। এদের মধ্যে নীলফামারীর জলঢাকায় মোসলেহ উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর ও অন্যরা বিএনপির কর্মী।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, 'ঢাকাসহ সারা দেশে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করছে। মামলা করেছে ৩১ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। সরকার অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে চোরাগলি দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বলে দিতে চাই, অত্যাচার, চক্রান্ত, সন্ত্রাস, খুন, খুনে বাহিনীর দাপট, কুৎসা রটনা সত্ত্বেও জনগণের আন্দোলন থামবে না। সরকারের দলবাজি ও দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে মানুষের অভ্যুত্থান এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পেঁৗছেছে।'

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, 'সরকার র্যাব-পুলিশ-বিজিবির মতো বাহিনীকে বিরোধী দল ও জনগণের বিরুদ্ধে দলীয় প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবহার করছে। র্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সন্ত্রাস দমনের জন্য। আজ এই প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজিবির দায়িত্ব সীমান্ত পাহারা দেওয়া। গতকালও সীমান্ত-হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অথচ ওই বাহিনীকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে জনগণের ন্যায়সংগত দাবির সংগ্রাম দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।'

সর্বশেষ খবর