সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

নোয়াখালীতে চার মামলা, এলাকা পুরুষশূন্য

কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবির ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪টি মামলা দায়ের হওয়ায় এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। উপজেলাজুড়ে এখন আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে দলীয় নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদে আগামীকালনোয়াখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দল। জানা গেছে, শনিবার বিকালে জামায়াত-শিবির-পুলিশের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে জামায়াত-শিবির তাদের ৬ জন নিহতদের দাবি করলেও পুলিশ তিনজনের কথা স্বীকার করেছে। এদিকে গ্রেফতারের ভয়ে থানায় হেফাজতে থাকা লাশের কোনো আত্দীয়স্বজনদের দেখা যায়নি। পুলিশ গতকাল সকালে তিনটি লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগুনের ঘটনায় দুটিসহ ৪টি মামলা কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের হয়েছে। মামলার ভয়ে এলাকা এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। উপজেলাজুড়ে জনমনে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি সাজেদুর রহমান জানান, উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সংঘর্ষের সময় ভূমি অফিস, পোস্ট অফিসসহ ৭টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। এতে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দলীয় নেতা-কর্মী নিহতের জের ধরে জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত এবং যুবদল ও জামায়াত-শিবির কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল নোয়াখালীতে পৃথক হরতাল পালিত হয়। তবে এ ঘটনার জের ধরে আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা মোশারফ হোসেন বলেন, পুলিশের গুলিতে ৬ জন জামায়াত-শিবির কর্মী নিহত হয়েছে। তিনটি লাশ ছাড়া অবশিষ্ট লাশ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, ৪ মামলায় শতাধিক নাম উল্লেখসহ কয়েকশ লোকের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। এদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় দলীয় নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল নোয়াখালীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দল। বিএনপির কেন্দ্রীয় যগ্ম-মহাসচিব জেলা সভাপতি ও ১৮ দলের জেলা আহ্বায়ক মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে গতকাল জরুরি সভায় হরতালের এ সিদ্ধান্ত হয়।

সর্বশেষ খবর