বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

খোন্দকার মাহবুব মিলন রিমান্ডে, সেলিমা রহমান কারাগারে

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খোন্দকার মাহবুব হোসেন ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কারা ফটকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল এ তিন নেতাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এসআই ঠাকুর দাস মালো। এ সময় আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিএনপির এ তিন নেতাকে হাজির করা হবে এমন খবরে দুপুর থেকেই আদালতপাড়ায় চলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সরকারবিরোধী মিছিল। তারা বেগম খালেদা জিয়ার সমর্থনে ও হরতালের পক্ষে স্লোগান দেয়। অন্যদিকে আদালত এলাকায় সকাল থেকেই পুলিশ কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার করে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে ৪ জানুয়ারি রাতে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অঙ্গ-সংগঠনের কর্মীসহ ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা ১০-১২টি ককটেল-বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। এর আগে গ্রেফতারকৃত এ আসামিদের বক্তব্য, পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন প্রকারের সহায়তায় অজ্ঞাত আসামিরা ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। বিএনপি নেতাদের পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নেতা সানাউল্লাহ মিয়াসহ পাঁচ শতাধিক আইনজীবী। শুনানিতে তারা বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন খোন্দকার মাহবুব হোসেন। এ কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে। এটা তো গোটা বিশ্ব দেখেছে। আসলে এ মামলায় আসামিরা ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান লিখনসহ প্রায় ২৫ জন আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত '৫ জানুয়ারির কলঙ্কিত নির্বাচন' শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে ফেরার পথে প্রেসক্লাবের গেট থেকে খোন্দকার মাহবুব হোসেনকে ডিবি পুলিশ আটক করে। এর কিছুক্ষণ পরই বারিধারার বাসা থেকে আটক করা হয় ফজলুল হক মিলন ও এমপি নাজিমউদ্দিন আহমেদকে। পরে রাতে নাজিমউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় ১৮ দলের পক্ষে গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করার পর সেলিমা রহমানকে ডিবি পুলিশ আটক করে। ওই সম্মেলনে হরতাল কর্মসূচি আরও ১২ ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দেন সেলিমা রহমান।

সর্বশেষ খবর