প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ৬০ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল কর্মসূচি শেষ হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি এ ঘটনায় সরকারি দলকে দায়ী করে বলেন, পাতানো নির্বাচনে ভোটারদের অনুপস্থিতি ও দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত বর্জন, দেশ-বিদেশে সমালোচনার মুখে জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই যশোর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরসহ দেশব্যাপী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে। সরকারের কোনো ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও অপকৌশলে তীব্র গণআন্দোলনকে কোনোভাবেই কলুষিত করে স্তব্ধ করা যাবে না। জনতার যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জনগণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, 'সব ধর্ম, বর্ণ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে কোনো হামলা মোকাবিলায় ১৮-দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। তাদের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। এসব অপ্রীতিকর ও অমানবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'প্রহসনের নির্বাচনে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধী দল নিধনের মহাপরিকল্পনা করছে। দেশকে এক চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সারা দেশে গতকাল যৌথবাহিনী বিরোধী দলের প্রায় তিন শতাধিত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করেছে। নিজেদের লোকদের দিয়ে স্কুলঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পোড়ানো হয়েছে। আর এর দায় চাপানো হচ্ছে বিরোধী দলের ওপর। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ন্যক্কারজনক পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।'