বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে

সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, 'গণতন্ত্র ও জনগণের ওপর এ সরকারের আর আস্থা নেই। তাই তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। তারা সম্প্রচার নীতিমালার নামে ভিন্নমত দলনের পথ বেছে নিয়েছে। তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারছে না। এ অধিবেশনেই হয়তো আইন করে তার বৈধতা দেওয়া হবে। ভোটারবিহীন এ সংসদে এবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীও পাস হবে। সংসদ বিচারপতিসহ সব সাংবিধানিক পদাধিকারীর অপসারণ ক্ষমতা নিজেদের কাছে নেবে। এভাবে আমরা আইনের শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি না আইনের শাসন থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি, জাতিকে তা ভেবে দেখতে হবে।' 'মৃত্যু অববাহিকা : বাংলাদেশের সড়ক ও নৌ পথ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে মান্না এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ভিন্নমতের কথা বলে, গণতন্ত্রে ভিন্নমত সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হয়। কয়েকজন মূর্খ মিলে সরকারকে কীসব উদ্ভট পরামর্শ দিচ্ছে, সেভাবেই সরকার দেশ চালাচ্ছে। এভাবে দেশ চলে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। নৌ দুর্ঘটনা প্রতিকার তো দূরের কথা মাঝপথে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলো। কেন? সরকার মিথ্যা বলল। লঞ্চ পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে লঞ্চ উদ্ধার করা হলে বিপুল লাশ দেখে যে জনরোষ তৈরি হতো তা সামাল দেওয়ার ঝুঁকি সরকার নিতে চায়নি। 'সাপ্তাহিক' সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা বলেন, দারিদ্র্যের জন্য নয়, চুরির জন্য দেশের উন্নয়ন হচ্ছে না। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আইডিবির চক্রান্তে এ দেশের রেলপথ ধ্বংস করা হয়েছে। সড়কপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম দশ লেন করেও জনগণের কোনো উপকার হবে না। রেল দুই লেন করলেই জনগণের দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটছে না। তিনি বলেন, নৌ ও সড়ক পথ ব্যবস্থাপনার নেপথ্যে রয়েছে অর্থ ও রাজনীতির খেলা। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে না পারার কারণ আইনের শাসনের অভাব। স্থপতি মোবাশ্বের আলী রাস্তা সংস্কারের নামে গত ঈদে কত টাকার লেনদেন হয়েছে জানতে চেয়ে বলেন, ঠিকাদারদের কাজের লাভজনক অংশ হলো মেরামত- একদিকে মেরামত চলে অন্যদিকে ভাঙতে থাকে, আর ঠিকাদারদের পকেট ভরতে থাকে।

-নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

সর্বশেষ খবর