বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

প্রশ্ন ফাঁসের বিভ্রান্তি ছড়ালে সাজা

প্রশ্ন ফাঁসের বিভ্রান্তি ছড়ালে সাজা

যে কোনো পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত এবং কোনো সাজেশন দিয়ে প্রশ্নের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া কাগজপত্র প্রশ্ন আকারে প্রচারের দায়ে চার থেকে ১০ বছরের জেলসহ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে একটি আইন হচ্ছে। আইনটিকে 'দ্য পাবলিক এক্সামিনেশন ওফেনসেস অ্যাক্ট' নাম দেওয়া হয়েছে। আইনটি ২০০৮ সালে প্রণীত হলেও নতুন ভাবে জনমত নিয়ে কঠোরতর করা হবে। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে পিএসসি, ইবতেদায়ি, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতি, নিরাপত্তা এবং প্রশ্ন পাঠানোর ব্যাপারেও নানা সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের জানান, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করছে সরকার। বিভ্রান্তি ছড়ানো ও রটনা সৃষ্টিকারীদের জেল, জরিমানা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিধানও থাকছে এই আইনে। -নিজস্ব প্রতিবেদক

এর আগে ১৯৮০ সালের আইনে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ১০ বছরের শাস্তির বিধান থাকলেও ১৯৯২ সালে তা সংশোধন করে শাস্তি কমিয়ে আনা হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় শিক্ষাসচিব মোহাম্মদ সাদিক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগমও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ১০ বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ নেন।

 

 

 

সর্বশেষ খবর