শনিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ফুলতলা বাজারে জামাল উদ্দিন (৩২) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাজার শেষে ঘরে ফেরার পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা গুলি করলে জামাল প্রাণ হারান বলে জানান সাতকানিয়া থানার ওসি আবদুল খালেদ।
নিহত জামাল ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী এবং আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ের অগ্রভাগের কর্মী বলে জানান স্থানীয় যুবলীগ নেতা রুকন উদ্দিন। আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য জামায়াত-শিবিরকে অভিযুক্ত করেছে। পুলিশ জানায়, জামাল স্থানীয় বদি আলমের ছেলে। মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা একটি সিএনজিতে এসে গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বরাত দিয়ে জানায় পুলিশ।
অনেকে ধারণা করছেন, যুবলীগ নেতা হাসান হত্যার আসামি ধরতে নয় মাসেও কোনো পুলিশি অভিযান না হওয়ায় ফের একই এলাকায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে জামাল উদ্দিনকে। গতকাল জামাল হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে শেষ খবর পর্যন্ত হত্যাকারীদের সন্ধানে পুলিশি অভিযান চলছিল।
এদিকে দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ নাকচ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সুকৌশলে অন্তঃকোন্দলের কারণেই জামালকে খুন করা হয় বলে অপপ্রচারে নামে জামায়াত শিবির- এমন অভিযোগ তোলেন সাতকানিয়ার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করে বলেন, হাসান হত্যা মামলার বাদী হাসানের চাচা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলমই মুখোশধারী ওই খুনিদের টার্গেট ছিলেন। তাকে না পেয়েই তার সহযোগী জামালকে গুলি করে তারা। স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. জুবায়ের জানান, হাসান হত্যার নেপথ্যে থাকা জামায়াত নেতা মাহমুদুল হক মেম্বারের সহযোগী বশর বাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ খবর