রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

২১ ফেব্রুয়ারি থাকছেন মমতা, স্বাধীনতা দিবসে মোদি

২১ ফেব্রুয়ারি থাকছেন মমতা, স্বাধীনতা দিবসে মোদি

প্রতিবেশী ভারতের হেভিওয়েট নেতৃত্বের বাংলাদেশে সফর নিয়ে আলোচনা চলছে ঢাকা-দিল্লির কূটনৈতিক মহলে। প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশের দুটি দিবসকে ঘিরে এ সফরের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ১৯ ফেব্রুয়ারি এসে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় থাকবেন বলে ঠিক হয়ে আছে। অন্যদিকে, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অবশ্য মোদির ভিভিআইপি সফর ঘিরে রয়েছে এখনো অনেক ‘যদি-তবে’। ঢাকার পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের মুখে একটিই বাক্য- আলোচনা চলছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতর বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে ঘিরে দিবসভিত্তিক কূটনীতি চালিয়ে আসছে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১ বৈশাখ, ১৬ ডিসেম্বরে বিভিন্ন স্তরের বিদেশিরা এ দেশ সফরে আসছেন। দেখছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি। এবার মমতা ব্যানার্জির ঢাকা সফরের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পর ২১ ফেব্রুয়ারির সুযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কলকাতার সূত্রগুলো বলছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরের সম্মতি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন মমতা। এখন ঢাকা সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানেও থাকতে আগ্রহী। ঢাকায় ঘুরতে চান রিকশায়। মমতা সঙ্গে করে আনতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল। এসব দলে মমতার ঘনিষ্ঠ শোবিজ ও সংগীত অঙ্গনের তারকাদের নাম শোনা যাচ্ছে। মমতার দফতরের সূত্র বলছে, মমতা নিজেই ঢাকায় সফরে যাওয়ার জন্য অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও দেব, পরিচালক গৌতম ঘোষ, গায়ক নচিকেতা, ইন্দ্রনীল সেন, প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতাসহ টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় একাধিক মুখকে সঙ্গে রাখার কথা বলেছেন। গণমাধ্যমে কবীর সুমনের নাম থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালিকায় তার নাম নেই। অন্যদিকে, ঢাকা ও দিল্লির কূটনীতিকরা নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর নিয়ে গত কয়েক মাসে একাধিকবার আলোচনা করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজেদের বৈঠকের মধ্যেও এ সফরের কথা উঠে এসেছে। তবে সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হচ্ছে না কিছুতেই। সেই অনিষ্পন্ন ইস্যু সীমান্ত ও তিস্তা চুক্তিই ঢাকা-দিল্লির পথে কাঁটা হয়ে আছে। প্রাথমিকভাবে গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ভারতের লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনের সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থন সম্ভব বলে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এখন বাজেট অধিবেশনের অপেক্ষা। সেখানে বিলটি উত্থাপনের পর পাস হলেই নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিষয় চূড়ান্ত হবে। তবে ঢাকা প্রবলভাবে আশাবাদী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে। যাই হোক, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ভারত সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এই সফরের পরই মোদির ঢাকা সফরের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। ঢাকার পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চের বিষয়টি প্রস্তাবে রাখা হয়েছে। সে সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোয় উপস্থিত থাকার সুযোগও দেওয়া যাবে অতিথিকে। তবে সেই সফরের আগে হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ে সফর বিনিময়। সেখানেই চূড়ান্ত হবে কী হবে এবং কী হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর