রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

জয়ের সন্ধানে নেলসনে টাইগাররা

আসিফ ইকবাল নেলসন থেকে

জয়ের সন্ধানে নেলসনে টাইগাররা

বিশ্বকাপের মহামঞ্চে বাংলাদেশ প্রথম বিজয় পতাকা উড়িয়েছিল এডিনবার্গের গ্রেঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে। ১৯৯৯ সালের ২৪ মে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানের এক জয়ে দেশবাসীকে রঙিন উৎসবে মাতিয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নুরা। ১১৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন নান্নু। বিশ্বকাপের মহামঞ্চে আরও একবার সেই স্কটিশদের মুখোমুখি হতে গতকাল মেলবোর্ন ছেড়ে নেলসন পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার কাছে বাজে পরাজয়ের পর জয়ের সন্ধানে নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে স্কটিশদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা ৫ মার্চ।
দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি দূর করতে আজ সবুজ চাদরে ঢাকা নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে কোনো অনুশীলন করবেন না মাশরাফিরা। আজ কেবল জিমনেশিয়ামে হালকা ব্যায়াম আর সারা দিন বিশ্রাম। এমনকি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো টাইগার ক্রিকেটার মিডিয়ার মুখোমুখিও হবেন না। স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার জন্য কোচ হাতুরাসিংহে শিষ্যদের প্রস্তুত করতে শুরু করবেন কাল থেকে। বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড ৩টা ম্যাচ খেলে তিনটাতেই হেরেছে। এর মধ্যে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৪২ রানের সংগ্রহ নিয়েও বেশ লড়াই করেছিল স্কটিশরা। ইংলিশদের বিপক্ষে ১১৯ রানে হেরেছে তারা। হেরেছে আফগানিস্তানের কাছেও। অন্যদিকে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে বেশ বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯২ রানে হেরে গেছে। পয়েন্ট তালিকায় এ গ্রুপে স্কটল্যান্ড অবস্থান করছে তলানিতে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ৩ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় অস্ট্রেলিয়ার এক ধাপ উপরে তিন নম্বরে অবস্থান করছে। স্কটিশদের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের পথ অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে যাবে। গ্লাসগোর এডিনবার্গের সেই ম্যাচ ছাড়াও স্কটিশদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে চট্টগ্রামে ৬ উইকেটে এবং ঢাকায় ১৪৭ রানে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সুখের এসব স্মৃতি নিয়েই আজ থেকে মাশরাফিদের প্রস্তুতির পালা শুরু হচ্ছে। তবে টাইগার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা দিতে হবে নেলসনের হিমেল হাওয়ায়। স্যাক্সটন ওভালে এরই মধ্যে বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আইরিশরা এই মাঠেই ৩০৫ রানের টার্গেট টপকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই মাঠে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলও করেছে ২৮৫ রান। সুতরাং ব্যাটিংয়ে ভালো করেই এখানে জিততে হবে। তবে বাংলাদেশের পেসাররা নিজেদের গতি দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে পারেন। বিশেষ করে পেসাররা নিয়মিতই ১৪০’র উপর গতিতে বল করছেন। এর ফলে স্যাক্সটন ওভালে ব্যাটসম্যানরা বিপদে পড়তে পারে। তবে বাংলাদেশকেও স্কটিশ বোলারদের পেস থেকে সাবধান থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর