মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবরোধ কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক নয় : হাইকোর্ট

অবরোধ কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হরতালের উপরে আইনগত বিধি-নিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া যৌক্তিক সময়ে পূর্ব নোটিস ছাড়া হরতাল আহ্বান করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না আদালত সে সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএর করা এই রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। হরতাল-অবরোধে সামগ্রিক অচলাবস্থা দূর এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই রিট করা হয়। হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্তদের কেন ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না ও সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঋণ খেলাপি হওয়া সংক্রান্ত ক্রেডিট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর তালিকা স্থগিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে। ৬ জানুয়ারি থেকে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যাংক সুদ মওকুফ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ১২ বছরের জন্য সব ঋণকে পুনঃতফসিল করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- মর্মে রুল জারি করা হয়েছে বলে ইমতিয়াজ মইনুল সাংবাদিকদের জানান। কোনো হরতাল-অবরোধের ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচির সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করছে গণমাধ্যম। এরপর হরতাল-অবরোধে সহিংস ঘটনা ঘটছে। তাই গণমাধ্যমে হরতালের ঘোষণা প্রচার বা প্রকাশ অপরাধের উসকানি হিসেবে কাজ করে কিনা, সহিংস ঘটনা ঘটাতে অনুপ্রাণিত করে কিনা, এটা প্রকাশ বা প্রচার করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চান আদালত। এ বিষয়েও একটি রুল জারি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর