বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দলগুলোর সাংঘর্ষিক অবস্থানে যুক্তরাজ্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন দেশটির ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ দফতরের মন্ত্রী হোগো সোয়ার। তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকটকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট দলের পার্লামেন্ট সদস্য সামি উইলসনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবরে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
সামি উইলসনের প্রশ্ন ছিল, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং অন্য বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি যেই ‘হুমকি’ বিরাজ করছে, সেই বিষয়ে মন্ত্রী বাংলাদেশ পক্ষের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেছেন কি না।
গত শুক্রবার ওই লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এবং ইইউ রাষ্ট্রদূতেরা গত ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ? করেন। সাক্ষাতে চলমান সহিংসতা এবং গণতন্ত্রের পরিবেশ সংকুচিত হয়ে আসার বিষয়ে সম্মিলিত উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়াও বিএনপির নেতা সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর হামলা ও গুলির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এসব ঘটনা তদন্তে হাইকমিশনার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং সব পক্ষকে সংযত আচরণের পাশাপাশি আইনের প্রতি প্রদ্ধাশীল হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় একটি বাসে মর্মান্তিক হামলার ঘটনায় হাইকমিশনার ওইসব বার্তার পুনরাবৃত্তি করেন। যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী আরও জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ হাইকমিশনার খালেদা জিয়ার কার্যালয় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতের পর দেওয়া এক বিবৃতিতেও ব্রিটিশ হাইকমিশনার চলমান পরিস্থিতিকে অসুখকর এবং শোচনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। হোগো সোয়ার সব রাজনৈতিক পক্ষকে চলমান উত্তেজনা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
