সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
রকিবুল হাসানের কলাম

এবার বাঁচা-মরার লড়াই

এবার বাঁচা-মরার লড়াই

যাক শেষ পর্যন্ত শেষ আট থেকে কোনো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাদ পড়ল না। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। শঙ্কা ছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত গ্রুপের শেষ ম্যাচে দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সহজভাবে জিতে শেষ আটে জায়গা করে নিল। আয়ারল্যান্ড নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে যে চমক সৃষ্টি করেছিল তা আর কাজে আসল না। কাল নেপিয়ারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের  প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত হওয়াতে আমি নিশ্চিত ছিলাম গেইলরা সহজভাবে জিতেই মাঠ ছাড়বে। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের দৃষ্টি ছিল অ্যাডিলেডের দিকে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় হয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতলেও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সমান ৬ পয়েন্ট হলেও নিট রান রেটে বিশ্বকাপে টিকে গেলেন গেইলরা। আয়ারল্যান্ডকে গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায় নিতে হয়েছে। তবে তাদের ধন্যবাদ জানাই আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে তারা বিশ্বকাপে একেবারে খারাপ খেলেনি। আমার বিশ্বাস ক্রিকেটে আইরিশরা সামনে আরও ভালো খেলবে।
আসা যাক কোয়ার্টার ফাইনাল প্রসঙ্গে। গ্রুপ পর্বের চেয়ে এ পর্বের গুরুত্বই আলাদা। নকআউট অর্থাৎ বাঁচা-মরার লড়াই শুরু হচ্ছে ১৮ মার্চ থেকে। বাংলদেশ-ভারত, শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোয়ার্টার ফাইনালে লড়বে। আগে বলেছি আবার বলছি কোয়ার্টার ফাইনালে কাউকে ফেবারিট বলা যাবে না। আট দলই যোগ্যতার প্রমাণ দেখিয়ে এই স্থানে উঠে এসেছে। সব কোয়ার্টার ফাইনালই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের দৃষ্টি থাকবে মেলবোর্নের দিকেই। ১৯ মার্চ টাইগাররা সেমিতে উঠতে লড়বে ভারতের বিপক্ষে। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের শক্তির কোনো তুলনা হয় না। এখনো তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। গ্রুপ ‘বি’ থেকে ছয় ম্যাচ জিতেই কোয়ার্টারে এসেছে। তাই বলে ভারতকে নিয়ে ভয়ের কিছু দেখছি না। বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হওয়াতে ভারত যে কতটা আতঙ্কিত তা তাদের মিডিয়ার লেখালিখিতে বুঝা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারতের সাবেক গ্রেট ক্রিকেটাররা ধোনিদের সতর্ক করে বলছেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ কতটা ভয়ঙ্কর। আসলে ভারতকে হারানোর যোগ্যতা আছে বলেই তারা বাংলাদেশকে এতটা ভয় পাচ্ছে। না পেয়ে উপায়ও নেই, এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সত্যিই অসাধারণ খেলেছে। আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ছিল প্রত্যাশিত। কিন্তু ক্রিকেটে অভিজ্ঞ দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে জয় পেয়েছে তা পুরো বিশ্বই বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। আর নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলেও টাইগাররা প্রমাণ দিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে জিততেই মাঠে নামবে। আসলে বাংলাদেশের সেই খেলা দেখেই ভারত ভয়ে কাঁপছে। অন্য তিন কোয়ার্টার ফাইনালে কি হবে আমি বলতে পারব না। কিন্তু এটা জোর গলায় বলব ১৯ মার্চ ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর দিতে পারলে সেমিফাইনালে উঠে টাইগারদের পক্ষে ইতিহাস গড়া সম্ভব।

সর্বশেষ খবর