রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

জামায়াতের সিদ্ধান্তে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হয়নি

জামায়াতের সিদ্ধান্তে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হয়নি

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। দেড় বছর আগে এজন্যই প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি। এবার কামারুজ্জামানও চাইলেন না।
সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবে অনেক আগেই নেওয়া আছে। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, অপরাধ স্বীকার করে আদালতের রায় মেনে প্রাণভিক্ষা চাইলে প্রমাণিত হতো কামারুজ্জামানের ব্যাপারে আদালতের রায় সঠিক ছিল। ফলে জামায়াত-শিবিরের পরবর্তী প্রজন্মকে এ কলঙ্ক আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। তা ছাড়া জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাহাকেও রক্ষাকর্তা মনে করিবে না’- প্রাণভিক্ষা চাইলে তা হবে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। তাই দল সিদ্ধান্ত নেয়, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্ত কামারুজ্জামানের পরিবারও মেনে নিয়েছে। কামারুজ্জামানের আইনজীবী ও পরিবার এমনটিই নিশ্চিত করেছেন। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর এ ব্যাপারে কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি বলেছেন, তার বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। কারণ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলে অপরাধ স্বীকার করে আদালতের রায়কে মেনে নিতে হবে; যা তার বাবা কখনোই করবেন না। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার ব্যাপারে কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনিরও একই কথা বলেছেন। জামায়াত সূত্র জানায়, প্রাণভিক্ষা চাইলে মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত নেতাদের নৃশংসতা ও বিরোধিতার বিষয়টিও তাদের পক্ষ থেকেই প্রমাণিত হবে। এ সুযোগ দিতে নারাজ জামায়াত। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সদস্য বলেন, প্রাণভিক্ষা চাইতে হলে আদালতের দেওয়া রায় সঠিক বলে মেনে নিতে হবে। তাতেই দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক বলে চাউর করবে সরকার। কিন্তু পরে সরকার ঠিকই বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আন্দোলন সৃষ্টি করে আবার জনগণের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে। তাই প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

সর্বশেষ খবর