বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

শক্তিশালী করতে চাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক : মমতা

শক্তিশালী করতে চাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক : মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো, আন্তরিক ও আবেগঘন সম্পর্ক আছে। আমরা এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং শক্তিশালী করতে চাই।’ রাজ্যের বর্ধমান জেলায় এক সভায় গতকাল মমতা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশি ছিটমহল থেকে ভারতে আসতে চায় এমন ৯০০ জনের কাছ থেকে আবেদনপত্র পেয়েছেন উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে থাকা ছিটমহলগুলোর যৌথ জরিপের কাজ চলছে। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। তারাই সব বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। গতকাল পর্যন্ত ৯০০ জনের কাছ থেকে আবেদনপত্র পেয়েছি, যারা ভারতীয় অংশে আসতে চান। যারা এপারে (ভারত) আসতে চায় তাদের জন্য পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা তাদের বাসস্থান এবং পুরো নিরাপত্তা দেব। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির সঙ্গে সুসম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো, আন্তরিক ও আবেগঘন সম্পর্ক আছে। আমরা এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং শক্তিশালী করতে চাই।’
এদিকে আগামীকালই শেষ হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ১৬২টি ছিটমহলের যৌথ জরিপের কাজ। ছিটমহল বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশের ১৬২টি ছিটমহলে বসবাসকারী ৫১ হাজার ৫৪৯ জনের ওপর ৬ জুলাই থেকে এ জরিপ শুরু হয়। জরিপের প্রথম দিন থেকেই শিবিরগুলোতে ছিটমহলবাসী একে একে এসে তাদের পরিবারের যাবতীয় তথ্য দিতে শুরু করেন। প্রতিটি পরিবার ধরে ধরে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলে। দুই দেশের ছিটমহল বিনিময়ের প্রক্রিয়া হিসেবে দুই দেশের ছিটমহলবাসী কত জন আছেন তা গণনার কাজ শুরু হয়। মূলত দুই দেশের ছিটমহলে থাকা বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কোন দেশে থাকতে চান। এ ছাড়া ২০১১ সালে যৌথ জরিপের পর ছিটমহলে কারও বিয়ে হয়েছে কি না, কেউ মারা গেছেন কি না, নতুন কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে কি না এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আগামী ৩১ জুলাই মাঝরাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের মধ্যে থাকা ছিটমহলগুলো হস্তান্তরিত হবে। ছিটমহলবাসী সেই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রসঙ্গত, ভারতে অবস্থিত ৫১টি ছিমহলের বেশির ভাগই কোচবিহার জেলায়। বাংলাদেশে রয়েছে ১১১টি ছিটমহল। দুই দেশ মিলিয়ে প্রায় ২৭ হাজার একর জমির ভাগ্য নির্ধারণ হবে স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী।

সর্বশেষ খবর