শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ইমরানের তথ্য চেয়েছেন আদালত, জনকণ্ঠের বিরুদ্ধে রুল

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালে বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের বিষয়ে আপিল বিভাগ বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন বলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন। এ ছাড়াও সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর চূড়ান্ত রায় ঘিরে বিচারকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিবন্ধ প্রকাশ করায় দৈনিক জনকণ্ঠ সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে অবমাননার রুল জারি করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। ওই নিবন্ধের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খান মাসুদ এবং নিবন্ধের লেখক ও পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে ৩ আগস্ট আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলার সময় ইমরানের বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে আদালত ইমরানের সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগ ইমরান সরকারের পার্টিকুলার্স (বিস্তারিত) জানতে চেয়েছেন। আমি তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আদালতে উপস্থাপন করব। সাকা চৌধুরীর আপিলের চূড়ান্ত রায় নিয়ে ‘ষড়যন্ত্রের’ আশঙ্কা প্রকাশ করে ইমরান এইচ সরকার ২৬ জুলাই বলেন, এই যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ছাড়া অন্য কোনো রায় মেনে নেওয়া হবে না।  এদিকে ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা/পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে গত ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে স্বদেশ রায়ের লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এর একটি অংশে বলা হয়,  “৭১-এর অন্যতম নৃশংস খুনী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্পাপ বাঙালীর রক্তে যে গাদ্দারগুলো সব থেকে বেশি হোলি খেলেছিল এই সাকা তাদের একজন। এই যুদ্ধাপরাধীর আপিল বিভাগের রায় ২৯ জুলাই। পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনও কোনো বিচারপতি সাক্ষাত দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোন কোন বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়।”
সাকার রায়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই এ লেখা। আদালত মনে করেন, এতে নানারকম মন্তব্য করে আদালতের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। এ ধরনের নিবন্ধ প্রকাশ করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- আদালত তা জানতে চেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর